হাসপাতালে ভরতি রোগীর করোনা ধরা পড়তেই শুরু হয়ে গেল তুলকালাম

Published : Mar 15, 2020, 07:09 AM IST
হাসপাতালে  ভরতি রোগীর করোনা ধরা পড়তেই শুরু হয়ে গেল তুলকালাম

সংক্ষিপ্ত

 সামান্য় কিছু  উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন এক ব্য়ক্তি ওই ব্য়ক্তি সম্প্রতি দুবাই থেরে ঘুরে এসেছিলেন দিনচারেক পরে তাঁর লালারস পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায় তিন করোনায় আক্রান্ত তারপরেই শুরু হয়ে যায় তুলকালাম কাণ্ড, হাসপাতালের ৮২জন কর্মীকে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়

হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন ৬৪ বছরের রোগী। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দিনচারেক বাদে দেখা গেল, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল তুলকালাম কাণ্ড। ওই রোগীর  সংস্পর্শে আসা   হাসপাতালের  ৮২জন কর্মীকে রাখা হল কোয়ারেনটাইনে। বাদ গেলেন না রোগীর আত্ময়ীরাও। শুক্রবার মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালের ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।

 

বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের  উপসর্গ রয়েছে, এমন রোগীকে ভরতি করে ওই হাসপাতাল নিয়ম ভেঙেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের প্রোটোকল অনুযায়ী,  করোনার উপসর্গ রয়েছে, এমন রোগীকে ভরতি করতে পারবে  না কোনও বেসরকারি হাসপাতাল। করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন, সম্ভাব্য় এমন  রোগীকে পুরসভার কস্তুরবা গান্ধি হাসপাতালে রেফার করতে হবে। যেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রক স্বীকৃত একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। প্রসঙ্গত, ৬৪ বছরের ওই রোগীকে পরে পুরসভার ওই হাসপাতালেই স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

 

 

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে,  ওই ব্য়ক্তি দুবাই থেকে ঘুরে আসার পর শরীরে কিছু অস্বস্তি নিয়ে ৮ মার্চ ওই হাসপাতালে ভরতি হন। দুদিন পরেও যেহেতু তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয় না এবং জ্বর, শর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্ট-সহ শরীরে ক্রমশ করোনাভাইরাসের উপসর্গ ফুটে ওঠে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরসভাকে বিষয়টি জানায়। ১২ মার্চ, ওই রোগীর লালারস পরীক্ষা করে নিশ্চিত  হওয়া যায় যে তিনি করোনায় আক্রান্ত।

 

পুরসভার বক্তব্য়, করোনায় আক্রান্ত একজন রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য়  সেখানকার ডাক্তার ও কর্মীরাও এখন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তাই তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ করেছে। হাসপাতালের আটজন কর্মীকে সেখানকার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। আর বাকি ৭৪ জনকে ১৪ দিনের জন্য় কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে।  এছাড়াও, ওই রোগীর ১৪ জন আত্মীয়ের মধ্য়ে  সাতজনকে হাসপাতালের ভেতরই কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। আর বাকি সাতজনকে বাড়িতে পৃথক রাখা হয়েছে।  এই মুহূর্তে পাঁচটি নজরদারি দল এলাকার  ৪৬০টি বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর করেছে। যদিও কাউর শরীরে তেমন কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। পুরসভার কার্যনির্বাহী স্বাস্থ্য় আধিকারিক ডা. পদ্মজা কেশকার জানিয়েছেন, "যদি কাউর মধ্য়ে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাঁকে কস্তুরবা হাসপাতালে কোয়ারেনটাইনে রাখব। চিন্তুার কিছু নেই।"

PREV
click me!

Recommended Stories

জেনে নিন আজ শহরের ডিজেল ও পেট্রোলের দাম কত
Iqra Choudhary : 'তোষণের নামে মুসলিমদের টার্গেট করা হচ্ছে' সংসদে ইকরা চৌধুরীর হুঙ্কার!