বেঙ্গালুরু-তে স্বামী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, আগ্রায় দোল খেলতে চলে গেলেন স্ত্রী

বেঙ্গালুরুতে কোভিড-১৯'এ আক্রান্ত গুগল-এর এক কর্মচারী

কিন্তু খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর স্ত্রীর

শুক্রবার রাতে আগ্রার এক আবাসিক কলোনি থেকে পাওয়া গেল তাঁরে

স্বামীকে ভর্তি করে তিনি দোল খেলতে চলে গিয়েছিলেন

 

amartya lahiri | Published : Mar 14, 2020 2:03 PM IST / Updated: Mar 15 2020, 05:29 PM IST

বৃহস্পতিবারই, বেঙ্গালুরুতে গুগল-এর এক কর্মচারীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক এসেছিল। কিন্তু, কর্তৃপক্ষকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। করোনাভাইরাসের ইচিবাচক ফল আসার পরই জানা গিয়েছিল স্বামীকে হাসপাকতালে ভর্তি করে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। অবশেষে শুক্রবার রাতে আগ্রার এক আবাসিক কলোনিতে খোঁজ মেলে গুগলের ওই কর্মচারীর স্ত্রী-এর।

আরও পড়ুন - মাত্র ২ টাকায় ফেস মাস্ক, করোনাতঙ্কের বাজারে এই দোকান যেন দৈত্যকূলে প্রহ্লাদ

খুব বেশিদিন হয়নি তাদের বিয়ে হয়েছে। সম্প্রতি বর-বউ মিলে ইতালি-তে গিয়েছিলেন মধুচন্দ্রিমায়। কিন্তু, অভিজ্ঢতা মোটেই মধুর হয়নি। মাঝপথেই সেই দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব। ক্রমে ইউরোপে এই সংক্রমণের মূল কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে সেই দেশ। মধুচন্দ্রিমা থেকে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন গুগলের ওই কর্মী। বৃহস্পতিবার এই ভয়ানক সংক্রামক ভাইরাসে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন নিশ্চিত হতেই তাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। কারণ নিখোঁজ ছিলেন তাঁর স্ত্রী।

আরও পড়ুন - বাতিল সেক্স পার্টি থেকে চুমুহীন মিলন - করোনাভাইরাস থাবায় কাতর যৌনজীবন

আতঙ্কিত হওয়ার অবশ্য যথেষ্টই কারণ রয়েছে। গুগলের ওই কর্মীর পরীাক্ষার ফল হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রী-র অনুসন্ধান করা শুরু হয়। অবশেষে রেলমন্ত্রক আগ্রা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাঁর সন্ধান পান। জানা গিয়েছে, স্বামীকে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ভর্তি করে তিনি বিমানে দিল্লি চলে এসেছিলেন। সেখান থেকে ট্রেনে আগ্রায় যান। সেখানকার রেলওয়ে কলোনিতেই তাঁর বাপের বাড়িতে। সেখানে, চুটিয়ে দোল খেলেছেন তিনি।   

আরও পড়ুন - করোনা নিয়ে উদ্বেগে ইসলামিক স্টেট-ও, জঙ্গিদের জন্য জারি বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি

আপাতত ওই ২৫ বছর বয়সী মহিলাকে আগ্রার সরোজিনী নাইডু মেডিকেল কলেজে একটি বিচ্ছিন্নতা ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার যাতে কোথাও চলে না যান সেই জন্য সেখানে তাঁকে নজরদারি-তে রাখা হয়েছে। আপাতত তাঁর-ও রক্ত এবং লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে তিনিও আক্রান্ত কি না। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই মহিলার বাবা এবং বোনকে ১৪ দিনের জন্য বাড়িতে বিচ্ছিন্নভাবে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁর পরিবারের অন্য আট সদস্যের উপরও নজর রাখা হচ্ছে।

 

Share this article
click me!