
8th Pay Commission Latest Update: কেন্দ্রীয় সরকার ৮ম বেতন কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়ার প্রায় ১০ মাস হয়ে গেলেও, এখনও পর্যন্ত প্যানেল গঠন করা হয়নি। এই দেরির কারণে ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্মচারী সংগঠনগুলো এখন সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে যাতে দ্রুত কমিশনের গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
কর্মচারী সংগঠনগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছে
সম্প্রতি CSSF (সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস ফোরাম) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে ৭ম বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার ঠিক দুই বছর আগে গঠন করা হয়েছিল, যার ফলে এটি গবেষণা এবং সুপারিশ তৈরির জন্য পর্যাপ্ত সময় পেয়েছিল।
কিন্তু এবার সরকার জানুয়ারী ২০২৫-এ ৮ম বেতন কমিশনের ঘোষণা করলেও, এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি, এমনকি চেয়ারপার্সন এবং সদস্যদেরও নিয়োগ করা হয়নি। CSSF দাবি করেছে যে কেন্দ্র যেন দ্রুত কমিশন গঠন করে এবং এর কার্যকালের মেয়াদ শুরুর তারিখ নির্ধারণ করে। ‘যদি সময়মতো গঠন না হয়, তাহলে ১ জানুয়ারী ২০২৬ থেকে নতুন সুপারিশগুলি কার্যকর করা সম্ভব হবে না, যার ফলে কর্মচারীদের বকেয়া প্রভাবিত হবে।’
৮ম বেতন কমিশনের রিপোর্টে কি দেরি হবে?
এখনও পর্যন্ত বেতন কমিশনগুলির দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রতিটি বেতন কমিশন তার রিপোর্ট তৈরি করতে এবং কার্যকর করতে প্রায় ২ বছর সময় নেয়। যদি সরকার নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে, তাহলে রিপোর্ট ২০২৭ সালের শেষের দিকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বেতন সংশোধন জানুয়ারী ২০২৮ থেকে কার্যকর হতে পারে।
তবে, রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকার এবার সময়সীমা কমানোর চেষ্টা করছে, যাতে প্রক্রিয়াটি এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা যায়। এর ফলে কর্মচারীরা ২০২৭ সালের শুরুতেই নতুন বেতন পেতে পারেন।
কর্মচারীদের জন্য স্বস্তি, রেট্রোঅ্যাকটিভ সুবিধার আশা
কমিশনের সুপারিশগুলি দেরিতে কার্যকর হলেও, সরকার সেগুলিকে ১ জানুয়ারী ২০২৬ থেকে কার্যকর করতে পারে। এমনটা আগেও হয়েছে।
৭ম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি জুন ২০১৬-তে কার্যকর করা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলি ১ জানুয়ারী ২০১৬ থেকে রেট্রোঅ্যাকটিভ (পূর্ববর্তী তারিখ থেকে কার্যকর) বলে গণ্য হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে সরকার এবারও একই পথে হাঁটতে পারে, যাতে কর্মচারীদের মনোবল অটুট থাকে এবং সরকারের উপর আর্থিক চাপ ধীরে ধীরে পড়ে।
৮ম বেতন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি কবে আসবে?
কর্মচারী ইউনিয়ন আশা করছে যে সরকার নভেম্বর ২০২৫-এর শেষের মধ্যে ৮ম বেতন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। যাতে কমিশন পর্যাপ্ত সময় পায় এবং ২০২৬ সাল থেকে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করা যায়।
৮ম বেতন কমিশন কবে গঠিত হবে?
এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার ৮ম বেতন কমিশনের ঘোষণা করেছে (জানুয়ারী ২০২৫-এ), কিন্তু বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। কর্মচারী ইউনিয়ন আশা করছে যে সরকার নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে এটি গঠন করবে।
৮ম বেতন কমিশন কবে থেকে কার্যকর হবে?
সরকার যদি সময়মতো কমিশন গঠন করে, তাহলে এর সুপারিশগুলি ১ জানুয়ারী ২০২৬ থেকে কার্যকর হতে পারে। তবে, দেরি হলে সরকার এগুলিকে রেট্রোঅ্যাকটিভ (পূর্ববর্তী তারিখ থেকে কার্যকর) করতে পারে।
৮ম বেতন কমিশন থেকে কারা উপকৃত হবেন?
এই কমিশন থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। মোট ১.১৫ কোটিরও বেশি মানুষের বেতন এবং পেনশন কাঠামো প্রভাবিত হবে।
৮ম বেতন কমিশনে বেতন কতটা বাড়তে পারে?
সঠিক পরিসংখ্যান কমিশনের সুপারিশের পরেই জানা যাবে, তবে অনুমান করা হচ্ছে যে মূল বেতনে ৩০% থেকে ৩৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে, যেমনটা ৭ম বেতন কমিশনেও দেখা গিয়েছিল।
৮ম বেতন কমিশনে কি কর্মচারীদের বেতন সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে?
না, প্রথমে কমিশন সুপারিশ করবে, তারপর সরকার তা অনুমোদন দেবে। বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হওয়ার পর কর্মচারীদের বকেয়া অর্থ (Arrears) প্রদান করা হতে পারে।