কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের মৌলিক বেতন, ভাতা, পেনশন ও অন্যান্য সরকারি সুবিধেগুলি সংশোধন করতে কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টম বেতন কমিশন গঠনে করা হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর খুশি ১ কোটিরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী তথা পেনশনভোগীরা।
কারণ বিগত কয়েকমাস ধরেই নতুন পে কমিশন গঠনের জন্য দাবি জানানো হচ্ছিল। সেই মতে, আগামী ২০২৬ সালে নতুন বেতন কমিশন তৈরির প্রস্তুতি শুরু করছে সরকার।
প্রতি ১০ বছর অন্তর নতুন বেতন কমিশন গঠন হয়। শেষবার ২০১৬ সালে সপ্তম পে কমিশন গঠিত হয়েছিল। যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ শে মার্চ ২০২৫ সালে।
তারপরেই অষ্টম বেতন কমিশন চালু হবে। যার ফলে সরকারী কর্মীদের নূন্যতম বেতন থেকে পেনশন যেমন বাড়বে তেমনি DA ও অন্যান্য ভাতার পরিমাণও বেড়ে যাবে।
নতুন বেতন কমিশন তৈরী হলে সবচেয়ে বেশি যেটা সুবিধা হয় সেটা হল বেতন কাঠামোর পুনর্গঠন। এক ধাক্কায় নূন্যতম বেতন অনেকটাই বেড়ে যায়, যেটা সরাসরি কর্মচারী থেকে শুরু করে পেনশনভোগীদের অনেকটাই স্বস্তি দেয়।
শেষবার ষষ্ঠ থেকে সপ্তম পে কমিশন হওয়ার সময় নূন্যতম বেতন ৭০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮,০০০ টাকা হয়ে গিয়েছিল। সেই হিসাবে এবারেও বেতন দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে।
সকল কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের মনে একটাই প্রশ্ন সবার আগে আসছে সেটা হল, অষ্টম পে কমিশন চালু হলে নূন্যতম বেতন হিসেবে কত টাকা আসতে পারে?
এর উত্তর হিসাবে জানা যাচ্ছে বর্তমানে যেখানে ১৮,০০০ টাকা নূন্যতম বেতন রয়েছে সেটা বেড়ে ৩৪,৫৬০ টাকা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে নূন্যতম পেনশন ৯,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭,২৮০ টাকা হয়ে যাবে।
তবে এই হিসাবের সবটাই এই মুহূর্তে অনুমান মাত্র। নতুন পে কমিশন গঠন হলেই আসল টাকার অঙ্ক প্রকাশ্যে আসবে।
প্রসঙ্গত, বাজেট ২০২৫ সামনে আসার আগে কেন্দ্রীয় কর্মীদের সংগঠনগুলির তরফ থেকে আরও একটি দাবি পেশ করা হয়েছে।
করোনা মহামারীকালে ১৮ মাসের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়নি। সেই বকেয়া ভাতা কর্মীদের দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক এই দাবি জন্য হয়েছে প্রি বাজেট বৈঠকেও।