কথায় আছে রাখে হরি, মারে কে। ঈশ্বরের কৃপা থাকলে অসম্ভবও যে সম্ভব হয় তা যুক্তি-তর্কের ঊর্ধে। অসমের বন্যাপীড়িত মানুষের হাহাকার যখন ফেটে পড়ছে চারিদিকে ঠিক তখনই। প্রসব বেদনায় ছটফট করছেন রুমি ছেত্রী।
মাথার ওপর নেই ছাদ। কারণ বন্যাই সব আশ্রয়টুকু কেড়ে নিয়েছে তাঁদের থেকে। অসমের বন্যা কবলিত এলাকায় থেকে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় তৈরি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবির। তার মধ্যেই একটিতে এসে উঠেছিলেন রুমি ছেত্রী ও তার পরিবার। সেই ত্রাণ শিবিরেই আচমকা প্রসব বেদনা ওঠে তাঁর। সন্তান প্রসব হয়ে যেতে পারে যে কোনও মুহূর্তে এই অবস্থায় তাঁকে কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়ে, কারণ যতদূর চোখ যায় শুধু জল আর জল। এই অবস্থায় সন্তানের প্রসব নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন রুমি ছেত্রীর পরিবারও।
বন্যার জেরে ভারত-বাংলাদেশ-নেপালে মৃত অন্তত ১০০, ঘরছাড়া প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ
ঘটনাচক্রে রুমার চিৎকার শুনতে পান স্থানীয় এক স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁর দাবি সেই সময়ে গর্ভবতী মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বৃথা চেষ্টা করার থেকে নৌকোর মধ্যেই তাঁর প্রসব করাতে হবে। সেইমতো স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টাতে একটি নৌকোর মধ্যেই প্রসব করেন ওই মহিলা। জন্ম দেন এক ফুটফুটে পুত্র সন্তানের। আর তারপরই তাঁকে ঘিরে শুরু হয় উন্মাদনা। সদ্যোজাতের নাম রাখা হয় কৃষ্ণ। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজেরও সাধুবাদ দিচ্ছেন সকলে।