সংক্ষিপ্ত

  • বন্যার জেরে ভারত-বাংলাদেশ-নেপালে মৃত অন্তত ১০০
  • ঘরছাড়া প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ 
  • আগামী দিনে আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে পরিস্থিতি

প্রকৃতির রূপ যে কতখানি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তার প্রমাণ মিলিছে সম্প্রতি এদেশের বন্যাবিধ্বস্ত গ্রামগুলি থেকে। এখও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ভারতের পাশাপাশি নেপাল ও বাংলাদেসে ঘরছাড়া প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ। বন্যার কবলে  এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে প্রায় শতাধিক মানুষের।

অসম এবং বিহারে বন্যার প্রকোপ ছিল সবথেকে বেশি। অসমে জলস্তর বাড়তে থাকায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে রয়েছেন। পাশাপাশি বন্যাল কবলে পড়েছে বিহারও। সংবাদ মাধ্যমের দেখানো খবরের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে বিহারের একাধিক সড়ক এবং রেলপথ চলে গিয়েছে জলের তলায়। 

সূত্রের খবর এবছরের বন্যায় দক্ষিণ এশিয়ায় এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা তুলনামুলকভাবে কিছুই নয়। বরং আগামী সপ্তাহে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের বর্ষাতেও ভারত-নেপাল-বাংলাদেশে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। থাকার ঘর-বাড়ি ধান-জমি সবই জলের তলায় চলে গিয়েছিল। সূত্রের খবর, রাতভোর ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বাড়ার কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাড়তে থাকা সেই জল আবার হিমালয়ের কোল বেয়ে প্রবেশ করছে বাংলাদেশে, যার ফলে বাংলাদেশেও বন্যার প্রকোপ অনেকটাই বেশি। 

সংসদে কোন মন্ত্রীরা গড়হাজির, তার তালিকা চেয়ে পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী

বন্যাবিধ্বস্ত মানুষদের উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছেন সেনাবাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। অনেক জায়গাতেই অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং খাদ্যের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।