গহরপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইয়েদের ২২ বছর বয়সী মুখতার আহমেদের সঙ্গে বিয়ে হয় ২১ বছরের মেয়ে রোশনীর। রবিবার গভীর রার্যন্ত চলে বিয়ে পরব উদযাপন। এদিকে রোশনীর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
বিয়ে বাড়িতে আনন্দের জায়গায় যদি শোকের ছায়া নেমে আসে, তখন তার মতো মর্মান্তিক কিছু হয় না। তেমনই ঘটল উত্তরপ্রদেশে। বিবিয়ের পরের দিনই মৃত্যু হল শ্বশুরবাড়িতে আসা নববধূর। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিয়েবাড়ি পরিণত হল শোকের বাড়িতে। শ্মশানের স্তব্ধতা নেমে এল বিয়েবাড়ি জুড়ে। জানা গিয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানেই কনের স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং চিকিৎসা চলাকালীনই তিনি মারা যান। আকস্মিক এই ঘটনায় হতবাক কনের স্বামী ও পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি জেলায়। পুলিশ সুপার অনিল কুমার মঙ্গলবার জানিয়েছেন, গোপীগঞ্জ থানার অন্তর্গত গহরপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইয়েদের ২২ বছর বয়সী মুখতার আহমেদের সঙ্গে বিয়ে হয় ২১ বছরের মেয়ে রোশনীর। রবিবার গভীর রার্যন্ত চলে বিয়ে পরব উদযাপন। এদিকে রোশনীর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। ক্রমাগত বমি ও ডায়রিয়া হতে থাকায় পরিবারের লোকজন সোমবার রোশনিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সুপার জানান, খবর পেয়ে গভীর রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
উল্লেখ্য এই মাসে, উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ থেকেও এক নববধূর মৃত্যুর একই রকম ঘটনা প্রকাশিত হয়েছিল। মধুচন্দ্রিমার দিন সকালে বিছানায় বর-কনের মৃতদেহ পাওয়া গেলে বাড়িতে হৈচৈ পড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। পুলিশ মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্ত করলে প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর একটি বিষয় সামনে আসে। এরপর নববিবাহিত দম্পতিকে একসঙ্গে একই চিতায় জ্বালানো হয়।
বাহরাইচ জেলার কায়সারগঞ্জ থানার গোধিয়া নম্বর চার গ্রামের ২২ বছর বয়সী প্রতাপ যাদবের বিয়ে হয় ২০২৩ সালের ৩০ মে ওই এলাকার মঙ্গল মেলা গ্রামে। ৩১ মে, প্রতাপ তার ২০ বছর বয়সী বধূকে বিদায় দেখে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। বিয়ের পরের দিন বর-কনে একসঙ্গে কক্ষে গেলেও সকালে দুজনের কক্ষ খোলেনি। দরজা ধাক্কা দিলেও দুজনের ঘর না খোলায় বরের ছোট ভাই জানালা দিয়ে ঘরে ঢোকেন। সেখানেই বর ও কনেকে ওই ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এর পরই বাড়িতে তোলপাড় শুরু হয়।
শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি
কায়সারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বুধবার রাতে নববিবাহিত দম্পতি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ঘুমাতে যান। সকালে অনেকক্ষণ পর্যন্ত দুজনেই ঘর থেকে বের না হলে বরের পরিবারের সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করে সেখানে দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান। বলা হয়েছিল, নবদম্পতি দুজনেই মধুচন্দ্রিমার সাজানো বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়েছিলেন। পরিদর্শক বলেন, "ঘরে জোর করে প্রবেশের কোনো চিহ্ন বা দম্পতির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল না, যা তাদের মৃত্যুতে কোনো অপরাধের ইঙ্গিত করবে।"