মণিপুর হিংসায় বলির পাঁঠা করা হচ্ছে মেইতি সম্প্রদায়কে, সরব ওয়ার্ল্ড মেইতি কাউন্সিল

ওয়ার্ল্ড মেইতি কাউন্সিল বলেছে যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কুকি জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। তাই তারা মেইতি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে

মণিপুর হিংসায় দুই সম্প্রদায়ের নাম সামনে আসছে। একটি মেইতি সম্প্রদায় এবং অন্যটি কুকি সম্প্রদায়। একদিকে মেইতি সম্প্রদায় হিংসার জন্য কুকি আদিবাসীদের দায়ী করছে, অন্যদিকে কুকি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে কুকি সম্প্রদায়। আপাতত এই বিষয়ে শুনানি হবে ৩ জুলাই। এদিকে, মেইতি সম্প্রদায়ের ওয়ার্ল্ড মেইতি কাউন্সিল নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে পুরো ঘটনা নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে। মেইতি কাউন্সিল স্পষ্টভাবে বলেছে যে তাদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে এবং কুকি সম্প্রদায়ের সশস্ত্র বিদ্রোহীরা হিংসা শুরু করেছে।

ওয়ার্ল্ড মেইতি কাউন্সিল কি বলছে

Latest Videos

নয়াদিল্লিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্ল্ড মেইতি কাউন্সিল বলেছে যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কুকি জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। তাই তারা মেইতি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে যাতে তাদের পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়। কুকি সম্প্রদায় একটি পৃথক প্রশাসনের দাবি করছে, তাই তারা মেইতি সম্প্রদায়কে শেষ করে দিতে চায়। অন্যদিকে, রাজ্যে হিংসার সময় সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়নি। এই কারণেই রাজ্যে এখনও হিংসা অব্যাহত রয়েছে। মণিপুরের লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত ন্যাশনাল হাইওয়ে-২ অবরুদ্ধ করে রেখেছে কুকি জঙ্গিরা। চিন-কুকি চরমপন্থী ও সরকার দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলেও মেইতিই সম্প্রদায়কে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে।

কী দাবি ওয়ার্ল্ড মেইতি কাউন্সিলের

কুকি বনাম সরকারের গেম প্ল্যানে মেইতিকে বলির পাঁঠা বানানো উচিত নয়।

মণিপুরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি আনতে ভারত সরকারের উচিত নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।

শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য চিন-কুকি বিদ্রোহীদের সম্পূর্ণরূপে নিরস্ত্র করতে হবে।

আমাদের ন্যায়বিচার শান্তি নিয়ে আসে, যতক্ষণ না মেইতি ন্যায়বিচার না পায়, ততক্ষণ স্থায়ী শান্তি হবে না।

সাংবিধানিক সুরক্ষার পাশাপাশি মেইতি সম্প্রদায়কে এসটি মর্যাদা পেতে হবে।

ওয়ার্ল্ড মেইতি কাউন্সিল কি অভিযোগ করেছে?

ওয়ার্ল্ড মেইতি কাউন্সিল বলছে, কারা হিংসার সূচনা করছে এবং এর পেছনে উদ্দেশ্য কী তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মণিপুরের বর্তমান হিংসা থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে কুকিরাই প্রথম হিংসার সূচনা করেছিল। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মেইতিকে আসতে হয়েছে। হিংসায় যত ক্ষয়ক্ষতিই হোক না কেন, তার দায় কুকির ওপর চাপানো উচিত। আসাম রাইফেলসের ভূমিকাও সন্দেহ করা হচ্ছে, যারা কুকি জঙ্গিদের সাহায্য করছে। রাজ্য থেকে আসাম রাইফেলসকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন মেইতেই মহিলারা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর থেকে আস্থা হারিয়েছে মেইতি সম্প্রদায়।

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury