রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেতুটি পড়ে। শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে চলে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের প্রানহানির মত ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।
রবিবার বিহারের ভাগলপুরে গঙ্গা নদীর উপর তৈরি একটি সেতু ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। এতে ৩০টির বেশি স্ল্যাব অর্থাৎ প্রায় ১০০ ফুটের সেতুর একটি অংশ ধসে পড়েছে। প্রাথমিক তথ্যে দুর্ঘটনায় জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গাদিয়া ও ভাগলপুর জেলাকে সংযুক্ত করতে এই সেতু তৈরি করা হচ্ছে। এটি প্রায় ১৭১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেতুটি পড়ে। শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে চলে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের প্রানহানির মত ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। সর্বশেষ ভিডিওতে দেখা যায় যে সেতুর একটি অংশ তাসের প্যাকেটের মতো গঙ্গা নদীতে ডুবে গেছে। সেতু ভেঙে পড়ায় নদীতে কয়েক ফুট উঁচু ঢেউ উঠেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। নদী থেকে কিছু দূরে অনেককে ভিডিও করতে দেখা যায়।
জেনে রাখা ভালো এটি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের স্বপ্নের প্রকল্প। চার বছর আগে তিনি এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। গত বছরের এপ্রিলেও এই সেতুর একটি অংশ ধসে পড়ে। এই সেতুটি ১৭১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল।
বিহার স্টেট ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন খাগরিয়া-এর নির্বাহী প্রকৌশলী যোগেন্দ্র কুমার জানান, নির্মাণাধীন সেতুর কয়েকটি স্প্যান পড়ে গেছে। দুর্ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ভাগলপুরের ডিসি অনুরাগ কুমার জানান, নির্মাণাধীন সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনাটি ঘটেছে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ। এই দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর নেই। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে স্থানীয় প্রশাসন। তিনি বলেন, সেতু নির্মাণ কর্পোরেশনের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
আগুয়ানীর পাশ থেকে নির্মাণাধীন ১০, ১১, ১২ এবং অর্ধেক ১৩ নম্বর পিলার সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনটি স্তম্ভ লিভার দিয়ে একে অপরের সাথে যুক্ত ছিল। এর ১২০টিরও বেশি স্প্যান ধসে পড়েছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সড়ক নির্মাণ বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব প্রত্যয় অমৃতের কাছ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন। সেতুর সুপার স্ট্রাকচার ভেঙে পড়ার ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রামবাসীরা বলছেন, রবিবার হওয়ায় এই তিনটি পিলারেই কাজ চলছিল না। এ কারণে হতাহতের কোনো তথ্য নেই। তবে একজন গার্ড নিখোঁজ হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে আগুয়ানী-সুলতানগঞ্জের মধ্যে নৌকা চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এখানে, সেতু নির্মাণকারী এসপি সিংলা কোম্পানির প্রকল্প আধিকারিক অলোক কুমার ঝা বলেন, দেখা গেছে যে ১০ থেকে ১২ নম্বর অংশগুলি পিলার সহ নদীতে পড়েছে।