মহামারি বাধা হয়ে দাঁড়াতে চলেছে নাগরিকত্বেও, ভারতে ফিরতে মরিয়া পাকিস্তানের হিন্দুরা

 

  • লকডাউনে আটকে রয়েছে পাকিস্তানে 
  • ছেদ পড়েছে ভারতে থাকার মেয়াদে 
  • তাতেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে নাগরিকত্বে 
  • ভারতে ফিরতে মরিয়া পাকিস্তানের অভিবাসীরা 

Asianet News Bangla | Published : Aug 21, 2020 2:29 PM IST / Updated: Aug 21 2020, 08:07 PM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বন্ধ রয়েছে সীমান্ত। আর তাতেই  চরম সমস্যায় পড়েছে বহু মানুষ। যাঁরা ভারত থেকে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকে আটকে পড়ছেন। তাঁদেরই একজন হলেন ৩৩ বছরের জনতা মালি। যিনি পাকিস্তানের নাগরিক। কিন্তু বিয়ে করেছেন ভারতীয়কে। গত ফেব্রুয়ারি থেকেই আটকে রয়েছেন পাকিস্তানে। স্বামী ও  তিন সন্তানের সঙ্গে তিনি তাঁর মাকে দেখতে ভারতের রাজস্থান  থেকে পাকিস্তানের মীরপুর খাসে গিয়েছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় তিনি সেখানেই আটকে রয়েছেন তিনি। 

জুনের শেষ সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই আটকে পড়া নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু  ভারতীয় নাগরিক না হওয়ায় জনতা মালি দেশে ফিরতে পারেননি। তবে তাঁর স্বামী ও তিন সন্তান দেশে ফিরে এসেছেন। দীর্ঘ দিন তাঁর পাকিস্তানে আটকে থাকায় ভারতে থাকার মেয়াদে ছেদ পড়েছে। যা নাগরিকত্ব আবেদনেও সমস্যা দেখা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অবস্থানও জানতে চেয়েছে রাজস্থান আদালত। 

জনতা মালি একাই ভুক্তোভোগী নন। তাঁর মত আরও অনেকে রয়েছেন যাঁরা পাকিস্তানি অভিবাসী। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে বা পাসপোর্ট ও অন্যান্য পরিচয় পত্র পুনর্নবিকরণ করতে পাকিস্তানে গিয়ে আটকে পড়েছেন। যাঁদের অধিকাংশ নো অবজেকশান রিটার্ন টু ইন্ডিয়ার ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে এবার তাঁদের দীর্ঘ দিনই পাকিস্তানে আটকে পড়তে হয়েছে । সদ্যো একটি মামলার শুনানি চলায় বিষয়টি নিয়ে উত্থাপন করা হয়েছে। তারপরই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  


নো অবজেশন ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৬০ দিনের হয়। কিন্তু তারমধ্যে যদি ভারতে না ফেরা যায় তাহলে ভিসাটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। তখন আবার নতুন করে আবেদন করতে হয়। আর এক্ষেত্রে ভারত সরকার নাগরিকত্ব প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আগের ভারতে থাকার মেয়াদ গণ্য করে না। 
 

Share this article
click me!