মধ্যপ্রদেশের এক শ্রমিক তাঁক ছেলেকে পরীক্ষা কেন্দ্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১০৫ কিলোমিটার সাইলেক চালিয়েছিলেন। এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল একটি সংবাদ মাধ্যমে। আর সেই খবরই পুরনো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে গেল উত্তর প্রদেশের আইপিএস অফিসার নভনিত সিকেরাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে তিনি জানিয়েছে তাঁর শৈশবের কথা। নেটিজেনদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তাঁর সংগ্রামের কষ্টের দিনগুলি।
আইপিএস নভনিত সিকেরার শৈশব খুব একটা সহজ ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন তাঁর বাবা তাঁকেই সাইকেলে বসিয়ে আইআইটির পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলে। কিন্তু সেখানে অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা অধিকাংশ গাড়ি করে এসেছিল। তাদের আধিকাংশের হাতে ছিল ঝকঝকে পাঠ্যপুস্তক ও নামি দামি সংস্থার বই। তা দেখে তিনি নাকি তখন ভাবতে শুরু করেছিলেন কী করে তিনি পরীক্ষায় বিত্তশালী পড়ুয়াদের সঙ্গে পাল্লা দেবেন। পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ভুলে তিনি যখন সেই সব চিন্তা করছিলেন তখন তাঁর বাবা তাঁর মনের কথা বুঝতে পেরেছেন। আর তারপরেই তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। পাশাপাশি পুরোমাত্রায় উৎসাহ দেন যাতে তিনিও শেষমুহূর্তের পরীক্ষা প্রস্তুতি থেকে বিরত না হন। পাশাপাশি তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন এই চকম দেখে প্রভাবিত না হয়ে নিজের ওপর আস্থা রাখতে। কারণ ভিত মজবুত হলেও সাফল্য আসে। কোনও চমক সাফল্য আনতে পারে না।
তিনি তাঁর লেখা পোস্টে জানিয়েছেন তাঁর বাবার উৎসাহে তিনি আজ আইপিএস হয়েছেন। কারণ সেই বছর আগ্রার যে কেন্দ্র থেকে তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন সেই কেন্দ্র থেকে তিনি ছাড়া আর মাত্র এক জনই আইআইটির জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। নিজের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবেন যে বাবা তাঁর ছেলেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছ দেওয়ার জন্য ১০৫ কিলোমিটার সাইকেল চালাচ্ছেন সেই ছেলেটিও যেন আগামী দিনে বাবা মায়ের মুখ উজ্বল করে।
তিমির পিঠে চড়ে সমুদ্রে পাড়ি, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চরম উন্মাদনা নেটিজেনদের মধ্যে ...
উত্তর কোরিয়ায় নেতৃত্ব আসছেন কিমের বোন ইয়ো জং, কিন্তু কেন এই রদবদল