মহারাষ্ট্রের ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন বিজেপি-শিবসেনা সম্পর্কে ফাটলের সম্ভাবনা বাড়ছে। প্রথমে আসন সমঝোতা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল, তা একরকম সামাল দেওয়া গেলেও শিবসেনার যুব সভাপতি তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন বিজেপি-শিবসেনা সম্পর্কে ফাটলের সম্ভাবনা বাড়ছে। প্রথমে আসন সমঝোতা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল, তা একরকম সামাল দেওয়া গেলেও শিবসেনার যুব সভাপতি তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে।
দিন দুয়েক আগেই উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য আদিত্য এখনও বয়সে কাঁচা। কিন্তু শিবসেনার দশেরার সভায় শিবসেনা নেতা ঞ্জয় রাউত ফের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে আদিত্যর নাম উসে দিলেন।
সবায় বলতে উঠে তিনি বলেন, পরের দশেরার সভাতেই শিবসেনা প্রধানের পাশে বসে থাকতে দেখা যাবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেইসময় উদ্ধব ঠাকরের পাশে বসেছিলেন আদিত্য ঠাকরে। সঞ্জয় এখানেই থামেননি। তিনি আরও বলেন, এখন শিবসেনা বেশ শান্ত হয়ে রয়েছে। কিন্তু এটাই শেষ কথা নয়। জোটের বাধ্যবাধকতার জন্য অনেক মেপে কতা বসলতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু সময় এলেই রাজ্যের মসনতে এক শিব সৈনিককে দেখা যাবে।
এর আগে উদ্ধব ঠাকরে নিজেও বলেছিলেন, বালা সাহেব ঠাকরে কে তিনি কথা দিয়েছিলেন এক শিব সৈনিককে একদিন না একদিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যম্ত্রীর পদে বসাবেন। সেই কথা তিনি রাখবেনই। আদিত্য নিজে অবশ্য প্রার্থী হওয়ার দিন জানিয়েছিলেন, তিনি মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না। তাঁর লক্ষ্য শুধুই মবহারাষ্ট্রবাসীর সেবা করা।
তবে বারবার করে শিবসেনা নেতারা মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে আদিত্যকে তুলে ধরে বিজেপির অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সম্পর্ক আপাত দৃষ্টিতে বেশ ভাল। কিন্তু, আদিত্যকে এইভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরাটা বিজেপি কতটা মেনে নেয়, সেটাই দেখার। আগামী কয়েকদিনে অনেক হিসেবই পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।