ভারতে বর্তমানে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা নৈমিত্তিক হয়ে গিয়েছে। ধর্ষণ, গণধর্ষণ, খুন, পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা রোজ ঘটছে। এরমধ্যে এক ব্যতিক্রমী অপরাধের ঘটনা সামনে উঠে এল উত্তরপ্রদেশের আলিগড় থেকে। যেখানে অভিযুক্ত এক মহিলা, আর অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর স্বামী।
পুলিশের এসএসপি-কে রীতিমতো হাতে পায়ে ধরে ওই ব্যক্তি তাঁকে, তাঁর স্ত্রীর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, মামা অসুস্থ এই অজুহাতে তাঁর স্ত্রী প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা এবং আরও বহুমূল্য গয়না নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। পরে জানা যায় ওই মহিলা গত চার মাস ধরে তাঁর বাপের বাড়িতেই রয়েছেন। তাঁকে ফিরিয়ে আনতে গেলে ওই ব্যক্তিকে মিথ্য়ে মামলায় ফাঁসিয়ে তাঁকে হাজতে পাঠানোর হুমকি দেন ওই মহিলা বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে ওই যুবক ট্র্যাভেল এজেন্ট হিসাবে কাজ করেন। গত বছর ৩ জুন উত্তরপ্রদেশের বরলা এলাকার ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাট করতে করতেই ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। বিয়ের পর প্রথম কয়েকদিন সবতিছু ঠিকঠাকই ছিল বলে জানিয়েছেন ওই যুবক। কিন্তু তারপরই স্ত্রী মামার শরীর খারাপের কথা বলে ওই যুবকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করেন।
গত নভেম্বর মাসে, সে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে তার বাপের বাড়ি চলে যান। স্বামী সেখানে তাঁকে নিতে এলে আর ফেরত যেতে চাননি। স্বামী চাপ দিলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেন। এরপরই স্ত্রীর সম্পর্কে আরও খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন ওই যুবক।
স্ত্রীর অতীত জানতে পেরে তাঁর চোখ কপালে উঠেছে। ওই যুবক জানতে পারে তাঁর স্ত্রী-র আগেও বিবাহ হয়েছিল। প্রথম স্বামী অল্পদিন পরই মারা যান। তারপর মৃত্যু স্বামীর ভাইকে বিয়ে করেন তিনি। তবে তাঁর সঙ্গেও বেশিদিন ঘর করেননি। গণধর্ষণের অভিযোগ এনে দ্বিতীয় স্বামীকে তিনি জেলে পাঠান। তারপর বিয়ে করেন ওই ট্রাভেল এজেন্ট যুবককে। তাঁর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।