বিকেলে ডাকা হলেও আসেনি পুলিশ, মাথায় ১৬ টা সেলাই নিয়ে জানালেন ঐশী

  • মাথায় ১৬টা সেলাই পড়েছে জেএনইউ-এর বাম ছাত্রনেত্রীর
  •  দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্য়ালয় চত্বরে জড় হচ্চিল বহিরাগতরা
  • বিকেলে থানায় মেসেজ করেছিলেন তিনি
  •  কিন্তু এতকিছু ঘটে যাওয়ার পরও কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি পুলিশ 

Asianet News Bangla | Published : Jan 6, 2020 11:57 AM IST

রবিবার ছাত্র সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে জেএনইউ। এবিভিপি-র গুন্ডারা হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাম ছাত্ররা। এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে বাংলার মেয়ে ঐশী ঘোষ। রক্তাক্ত অবস্থায় বাম ছাত্র নেত্রী জানান, সন্ধেবেলায় এবিভিপি-র গুন্ডারা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের হস্টেলে ঢুকে তাঁর ওপর হামলা চালায়। অভিযোগ, এ দিন সন্ধ্যার পর আচমকাই জেএনইউ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে লাঠি, ব্যাট নিয়ে হামলা চালায় বহিরাগতরা। ঐশীর পাশাপাশি গুরুতর ভাবে আহত হন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন। যার জেরে এইএমসের ইনটেনসিভ কেয়ারে ভর্তি করা হয় তাদের। 

মাথায় ১৬টা সেলাই পড়েছে জেএনইউ-এর বাম ছাত্রনেত্রীর। একটি সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঐশী জানান,দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্য়ালয় চত্বরে জড় হচ্চিল বহিরাগতরা। অশনি সংকেত পেয়েই ছাত্রী হোস্টেলের পক্ষ থেকে দুপুরবেলা উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে জানানো হয়েছিলসব। পরে জমায়েত বাড়তে দেখে ফোন করা হয় দিল্লি পুলিশের সদর দফতরেও। বিকেলে থানায় মেসেজ করেছিলেন তিনি। কিন্তু এতকিছু ঘটে যাওয়ার পরও কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি পুলিশ।  

হাসপাতালের  বেডে শুয়ে ঐশী বলেন,বিশ্ববিদ্য়ালয়ে সঙ্ঘপরিবারের এজেন্টের কাজ করছেন উপাচার্য। যে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন না,তাঁর লজ্জা হওয়া উচিত। ওই পদে থাকার তাঁর কোনও যোগ্যতা নেই। এদিকে সোমবারই জেএনইউ থেকে  পদত্যাগপত্র দিয়েছেন সবরমতী হস্টেলের ওয়ার্ডেন আর মীনা। তিনি বলেছেন, হস্টেলের নিরাপত্তা  দেওয়ার  চেষ্টা  করেও তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তিনি আর পদে থাকতে চান  না। 

মঙ্গলবার নতুন করে আন্দোলনের জন্য নামছে বাম ছাত্ররা। পিছিয়ে নেই অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদও। জেএনইউ-তে এই হামলার পিছনে বাম ছাত্ররাই রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এবিভিপির তরফে দাবি করা হয়েছে, তারা তাদের ১১ জন কর্মীকে খুঁজে পাচ্ছে না। তাদের কমপক্ষে ২৫ জন এই ঘটনায় আহত হয়ে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। 

 টুইটারে গেরুয়াপন্থীরা দাবি করেছেন, খোদ মুখোশধারীদের সঙ্গে ছিলেন ঐশী। প্রমাণ হিসাবে সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ঐশীর মতো দেখতে কেউ মুখ ঢাকাদের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছে। হামলা রাতে হলেও দিনের আলোতেই তোলা হয়েছে এই ভিডিয়ো। এবিভিপি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, বাম ছাত্র ও নকশালপন্থীরা ক্যাম্পাসে ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালায়। সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই দাবি করেন জেএনইউ-এ এবিভিপির সভাপতি দুর্গেশ কুমার। 

Share this article
click me!