যে যাত্রী টয়লেটে শিশুর চিৎকার শুনেছিলেন তিনি শিশুটিকে দেখে হতবাক হয়ে যান। টিটিই ট্রেনের এসকর্টিং স্টাফ মিঃ এম. রামকি আরপিএফ পোস্ট, বিশাখাপত্তনমকে রিপোর্ট করেন।
ট্রেনে টয়লেটে এক মহিলা সন্তানের জন্ম দেন এবং টয়লেটে রেখেই ডুবে মারা যান। বুধবার সকাল ৮.২৫ মিনিটে ধানবাদ-আলাপ্পুঝা বোকারো এক্সপ্রেসের তৃতীয় শ্রেণীর এসি কোচ অর্থাৎ বি-১ কোচের টয়লেটের ওয়াশ বেসিনে একটি শিশুর জন্ম দেন ওই মহিলা। ট্রেনটি সিংহাচলম স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় যাত্রীরা অনবোর্ড-টিটিইকে জানানোর পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
যে যাত্রী টয়লেটে শিশুর চিৎকার শুনেছিলেন তিনি শিশুটিকে দেখে হতবাক হয়ে যান। টিটিই ট্রেনের এসকর্টিং স্টাফ মিঃ এম. রামকি আরপিএফ পোস্ট, বিশাখাপত্তনমকে রিপোর্ট করেন। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের কর্মীরা শিশুটিকে বিশাখাপত্তনমের ডিভিশনাল রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান।
শিশুটির স্বাস্থ্য সন্তোষজনক এবং তাকে আরও চিকিৎসা ও যত্নের জন্য কেজিএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শিশুটিকে চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার-ভলতেয়ার অনুপ সতপাঠী শিশুটিকে লালন-পালনের পুরো খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শিশুটির আসল মায়ের খোঁজ শুরু হয়েছে।
অনুপ সতপাঠী জানান, "আমরা শিশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি মা/বাবা-মাকে খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত চালাচ্ছি। সত্যিকারের মা/বাবা স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে সন্তানের মালিক হলে তার লালন-পালনের জন্য তাদের পূর্ণ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।"