সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইন বা একটি আরটিআই আবেদনের প্রেক্ষিতে রেল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই কম্বল পরিষ্কারের বিষয়ে নিয়ে যে জবাব দিয়েছে, তাতে অবাক হয়ে যাবেন আপনি।
ধপধপে সাদা চারদ। সাদা পিলোকভার দেওয়া বলিস। আর পাট করে রাখা কম্বল। কখনও রাখাই থাকে প্রত্যেকটি সিটে। কখনও আবার বিলি করা হয়। ভারতীয় রেলের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কামরার এটাই পরিচিত ছবি। মাঝে করণভাইরাসের মহামারির কারণে কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল এসি কামরায় বালিশ, কম্বল আর চাদরের ব্যবস্থা। এখন আবার তা চালু হয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন কি এসি কামরায় যে কম্বল দেওয়া হয়েছে সেগুলি কীভাবে পরিষ্কার করা হয়? জানলে অবশ্য শিউরে উঠবেন।
সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইন বা একটি আরটিআই আবেদনের প্রেক্ষিতে রেল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই কম্বল পরিষ্কারের বিষয়ে নিয়ে যে জবাব দিয়েছে, তাতে অবাক হয়ে যাবেন আপনি। আরটিআই-এর জবাবে রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে 'মাসে অন্তত একবার সম্ভব হলে দুইবার এসি কোচে দেওয়া কম্বল সাফাই করা হয়। বর্তমান পরিকাঠামো ও লজিস্টিক্সের ওপর ভিত্তি করে।'অর্থাৎ মাসে একবার বড়োজোর দুইবার ধোয়া হয় এসে কামরার কম্বল। সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে রেলের কর্মীর জনাচ্ছে মাসে দুই বার কম্বল সাফাই করা হয় - তার কোনও গ্যারন্তি নেই। তবে বহু ব্যবহারে কম্বলে যদি দুর্গন্ধ হয় তাহলে তা সাফাই করা হয়। কম্বল ভিজে গেলে বা কেউ বমি করে ফেললে কম্বল সাফাই করা হয়। সেইক্ষেত্রে একবারের বেশি কম্বল সাফাই করা হয়। রেল বোর্টের এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান জনিয়েছেন, 'কম্বল সাফাইয়ের ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি। এর আগে আইআরসিটিসির নিয়মিতভাবে প্রতি সপ্তাহে কম্বল পরিষ্কার করত। কিন্তু বর্তমানে থার্ডপার্টি ভেন্ডারের অন্তর্ভুক্তি হওয়ায় নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। '
চিকিৎসকদের কথায় কম্বল পরিষ্কার না করা হয় তাহলে তার থেকে রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। সর্দিকাশি, চিকেন পক্সের মত সমস্যা থাকা কোনও যাত্রীর ব্যবহৃত কম্বল অন্যযাত্রীকে আক্রান্ত করতে পারে। অপরিচ্ছন্ন কম্বল ত্বকের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই ভারতের লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত রেলে এজাতীয় অপরিচ্ছন্ন কম্বল বিলি করায় যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।