হায়দরাবাদ কাণ্ডে দোষীদের মতো গুলি করে মারা হোক উন্নাও কাণ্ডের দোষীদের। মেয়ের গায়ে যারা আগুন দিয়েছে তাঁদের মৃত্যদণ্ড চাইলেন উন্নাওকাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা।
শুক্রবার রাতেই মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন তিনি। রাগে অগ্নিশর্মা পিতার প্রশাসনের কাছে একটাই আবেদন, অবিলম্বে দোষীদের ফাঁসি হোক। তা না হলেও গুলি করে মারা হোক মেয়ের গায়ে আগুন দেওয়া অভিযুক্তদের। উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাবার দাবি, তিনি লোভী নন। সরকারে কাছ থেকে নতুন বাড়ি চান না তিনি। পুরোনো বাড়ি মেরামতির জন্য খরচও লাগবে না। কিন্তু মেয়ের ওপর হামলাকারীদের মৃত্যু দেখতে চান না তিনি। ঠিক যেভাবে হায়দরাবাদ কাণ্ডে এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছে দোষীদের।
ভাইয়া মুঝে বাঁচালো-মুঝে মরনা নেহি হ্যায়, শেষ আর্জি ছিল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার
একই দাবি করেছেন নির্যাতিতার ভাই। তিনি বলেন, হাসপাতালে বার বার বাঁচার কাতর আর্জি জানিয়েছিল বোন। অভিযুক্তদের মৃত্যু দেখতে চেয়েছিল সে। আমিও চাই বোনের গায়ে যে পাঁচজন আহুন দিয়েছে, তারা যেন কোনওভাবেই বেঁচে না থাকে। বৃহস্পতিবার ভোরে গণধর্ষণ মামলার শুনানির জন্য উন্নাও থেকে রায়বরেলি রওনা দিয়েছিলেন উন্নাওয়ের ওই যুবতী। কাকভোরে বিহারের বাইশওয়াড়া স্টেশনের দিকে রওনা হয় সে।
উন্নাও কাণ্ডের প্রতিবাদ, শিশুকন্যার শরীরে পেট্রল ঢাললেন দিল্লির মহিলা
কিন্তু স্টেশন পৌঁছনোর আগেই তার পথ আটকায় হরিশংকর ত্রিবেদী, শুভম, কিশোর, শিবম ও উমেশ। অভিযুক্ত পাঁচ জনের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে নির্যাতিতাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা প্রথমে ওই যুবতীর মাথায় আঘাত করে, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে নির্যাতিতাকে। যন্ত্রণায় মাটিতে কাতরাতে থাকলে গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাকে। এরপরই শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ওই যুবতী। এরপর থেকেই প্রতিবাদে নেমেছে দেশ। অবিলম্বে দোষীদের ফাঁসির দাবি করেছে দেশবাসী। ইতিমধ্যেইপ্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে মানুষ।