ভারতের ওপর চাপ বাড়াতে অন্য কৌশল বেজিং-এর, আচমাকাই ভূটানের বনভূমিতে ড্রাগনের নিঃশ্বাস

এবার চিনের নজর ভূটানের বনভূমির দিকে 
ট্র্যাশিগাং জেলার সাকতেং ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির দাবি
ভূটানের অরণ্যভূমি অরুণাচল সংলগ্ন
ঘুরিয়ে ভারতের ওপর চাপ বাড়াতেই চিনের কৌশল 
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 6, 2020 7:59 AM IST / Updated: Jul 06 2020, 01:38 PM IST

এবার নতুন করেন ভূটানের সঙ্গে চিনের সীমান্ত সমস্যা মাথাচাড়া দিয়েছে। চিন সীমান্তে অবস্থিত  ভূটানের ট্র্যাশিগাং জেলার সাকতেং ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি নিজেদের বলে দাবি করছে শি জিংপিং প্রশাসন। ভূটানের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত এই অভয় অরণ্যের বিস্তার ৬৫০ বর্গ কিলোমিটার।  ভূটানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি ভূটানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দেশের সার্বভৌম্য়ত্ব রক্ষায় প্রয়োজনে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান হয়েছে। 

সম্প্রতি গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটির একই অনলাইন সভাতেই ভূটানের বনভূমিটির দাবি জানিয়েছিল চিন। পাশাপাশি এই বনভূমি উন্নয়নের গ্লোবাল ফান্ডিং-এরও তীব্র বিরোধিতা করে।  ভূটান তো বটেই জিএফ কাউন্সিল চিনের দাবি প্রত্যাক্ষাণ করে। তার কয়েক মিটিটের মধ্যেই প্রকাশ্যে আসে দুই দেশের সীমান্ত বিরোধ। 

চিনের দাবি ছিল বনভূমিটি চিন ও ভূটানের বিতর্কিত অঞ্চলে অবস্থিত। চিন-ভূটান সীমান্ত নিয়ে আলোচনা চলছে। তাই চিন জিএফ কাউন্সিলের দাবি মানতে পারছে না বলেও জানান হয়। পাশাপাশি চিন অনলাইন বৈঠকেও যোগদানে অসম্মত হয়। 


ভূটানে চিনের কোনও দূতাবাস নেই। সূত্রের খবর সম্প্রতি সীমান্তবর্তী বনভূমি নিয়ে ভূটান দিল্লিতে অবস্থিত চিনা রাষ্ট্রদূতের অফিসে নিজেদের মত জানিয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি  দুটি দেশ ২৪ দফা সীমান্ত আলোচনা করেছে। কিন্তু বিতর্কিত বনভূমি নিয়ে থিম্পু সর্বদাই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে বেজিং-এর কাছে। 


তবে সম্প্রতি চিনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ভূটানের সঙ্গে চিনের সীমানা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্থির সিদ্ধান্তে আসা হয়নি। পূর্ব মধ্য ও পশ্চিমাভাগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। নতুন কোনও অঞ্চল নিয়ে বিরোধ নেই। চিন সর্বদা সীমান্ত সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বিশ্বাসী বলেও জানান হয়েছে বেজিং-এর তরফ থেকে। 


তবে বেজিং-এর তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে চিন ও ভূটানের সীমান্ত সমস্যায় তৃতীয় কোনও আঙুল তোলা উচিৎ নয়। যা নিয়ে বেজিং স্পষ্টভাবে নিশানা করেছে ভারতকে। 

ভূটানের পূর্ব ক্ষেত্রটির যে অংশ নিয়ে চিনের সঙ্গে বিবাদ তা অরুণাচল প্রদেশের খুবই কাছে। দীর্ঘ দিন ধরেই এই একালা দক্ষিণ তিব্বতের অংশ হিসেবে দাবি জানিয়ে আসছে চিন। তাই ভূটানের সঙ্গে চিনের দ্বন্দ্বে পরোক্ষভাবে  ভারতেরই  আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। 

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন চিনের এই দাবি ভারত ও ভূটানকে চাপে রাখারই কৌশল। চিন ভূটানকে টার্গেট করে পর চাপ বাড়াচে চাইছে ভারতের ওপর। কারণ বর্তমানে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত সীমান্ত নিয়ে ভারত চিন অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছে। এই পরিস্থিতি অরুণাচলের দিকেও নজর রয়েছে সি জিংপিং-এর। কারণ ২০১৭ সালে ডোকলাম সীমান্ত দীর্ঘ দিন ধরেই ভারত ও চিনা সেনা অবস্থান করেছিল। সেই স্মৃতিই ফিরে দিচ্ছে সাকতেং ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির দাবি। 

Share this article
click me!