রত্ন, গয়না, নগদ টাকা-সহ মোট ৬০ লক্ষ টাকার মাল লুঠ করে যাওয়ার সময় ডাকাতের দল লিখে গেল 'বৌদি খুব ভাল'। তবে দাদার সম্পর্কে বাছা বাছা গালাগালই ব্যবহার করেছে তারা। ঘটনাটি ঘটেছে ত রবিবার। তারপর থেকে ডাকাতি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে বিহারের রাজধানী পাটনাতে।
রবিবার পাটনার হনুমাননগরে একেবারে ভর দুপুরেই হানা দিয়েছিল ডাকাতরা। দুপুর দুটোর ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় রত্ন-ব্যবসায়ী প্রবীণ কুমারের বাড়িকেই নিশানা করেছিল ডাকাতের দল। তাঁর ভাড়াটেরা জানিয়েছেন ডাকাতদের দলটিতে প্রায় ৫-৬ লোক ছিল।
রবিবার প্রবীণ কুমার সপরিবারে বাড়ির বাইরে ছিলেন। দুপুরে ভাড়াটেরাও ঘুম লাগিয়েছিলে। এই অবস্থায় ডাকাতরা প্রথমে বাইরে থেকে সমস্ত ভাড়াটেদের দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দেয়। তারপর নিশ্চিন্তে প্রবীনের বাড়ির মাল সরাতে শুরু করে। ডাকাতদের গলার আওয়াজ ও জিনিপত্র সরাবার শব্দে কিছু ভাড়াটের ঘুম ভেঙে যায়। তারা উঠে দরজা খুলতে চেষ্টা কর দেখেন দরজাটি খুলছে না।
এরপর তারা বাড়ির ভিতর থেকেই চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। তাতে বাকিদেরেও ঘুম ভেঙে যায়। প্রত্যেকেই চেচামেচি করতে থাকেন। এতে ডাকাতরা এসে তাঁদের হুমকি দেয়। কিন্তু তারপরেও তারা আওয়াজ করা থামাননি বলে দাবি ভাড়াটেদের। তারমধ্য়েই প্রবীণের বাড়ীতে মূল্যবান যা কিছু ছিল তা তুলে নেয় ডাকাতরা।
তবে সবচেয়ে অদ্ভূত ঘটনা ডাকাতরা যাওয়ার সময় ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় লিপস্টিক দিয়ে হিন্দিতে লিখে দিয়ে যায় - 'ভাবিজি বহোত আচ্ছে হ্যায়' বা 'বৌদি খুব ভালো'। একইসঙ্গে অবশ্য 'ভাইয়া' দাদার সম্পর্কে খুবই নোংরা নোংরা কিছু কথা লেখা হয়েছে।
প্রবীন জানিয়েছেন তাঁর আলমারিতে ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের রত্ন ছিল। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ড্রেসিংটেবিলের আয়নার ওই লেখা ডাকাতদের সন্ধান দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।