অসমে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার কারণে প্রায় ৪২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রেমাল পরবর্তী বৃষ্টিতে অসমের কমপক্ষে ৮টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তারি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর পরবর্তী দুর্যোগের বানভাসি অসম। প্রায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমে। রেমালের কারণে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে অসম-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। যার কারণে ব্রহ্মপুত্র, বরাকের মত গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে।
অসমে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার কারণে প্রায় ৪২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রেমাল পরবর্তী বৃষ্টিতে অসমের কমপক্ষে ৮টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তারি হয়েছে। ক্রমে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। হুহু করে জল বাড়ছে উত্তর পূর্বের নদীগুলিতে। যার কারণে অসমের নগাঁও, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, দিমা হাসাও, পশ্চিম কার্বি আংলং, কাছাড়, গোলাঘাটের মত জেলাগুলিতে। এখনও বৃষ্টি চলছে অসমে। আপাতত অবহাওয়ার উন্নতির হওয়ার তেমন কোনও পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর। যার কারণে গোটা পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের মানুষের জীবন। বন্যা পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে আহত হয়েছে ১৮ জন। থমকে গেছে জনজীবন।
এর আগে ২০২২ সালে প্রবল বন্যা হয়েছিল শিলচরে। এবারও বন্যা পরিস্থিতি হয়েছে এই এলাকায়। এখনও পর্যন্ত গোটা এলাকা রয়েছে জলের তলায়। যার ফলে ব্যহত হয়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা। এই এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। যার কারণে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যহত হয়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা। বৃষ্টিতে ভিজছে ইম্ফলও।
রবিবার রাত আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড় মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলা বিপর্যস্ত হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে ৯০ থেকে ১২০ ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সোমবার গোটা দেশেই বৃষ্টি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখনও বাংলাদেশে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার বাড়ি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রতিবেশী ১৯টি জেলার ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রেমাল-এর কারণে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের একাধিক এলাকায় ঝড়ের প্রভাব থাকবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর।