অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আজ তিন দিন। তৃতীয় দিনেও উত্তপ্ত দেশের প্রত্যন্ত এলাকা। বিহার, উত্তর প্রদেশসহ দেশের বিস্তীর্ণ একায় চলছে চুক্তির মেয়াদে সেনায় ভর্তি নেওয়ার প্রতিবাদ। পশ্চিমবঙ্গেও এই প্রতিবাদ আন্দোলনের আঁচ পড়তে শুরু করেছে।
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আজ তিন দিন। তৃতীয় দিনেও উত্তপ্ত দেশের প্রত্যন্ত এলাকা। বিহার, উত্তর প্রদেশসহ দেশের বিস্তীর্ণ একায় চলছে চুক্তির মেয়াদে সেনায় ভর্তি নেওয়ার প্রতিবাদ। পশ্চিমবঙ্গেও এই প্রতিবাদ আন্দোলনের আঁচ পড়তে শুরু করেছে। অন্যদিনে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল তেলাঙ্গনা। সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে দাউ দাউ করে জ্বলছে ট্রেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নামান হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ গুলি চালায়। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা তিন।
সকালে লখিসরাই স্টেশনে বিক্রমশীলা এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগুন লাগান হয়েছে হাজিপুর বারাউনি রেলওয়ের সেকশনের মহিউদ্দিননগর স্টশনের সমপ্তিপুরে দাঁড়িয়ে থাকা জম্মু-তাওয়াই-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে। সম্পর্ক ক্রান্ত এক্সপ্রেসে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বক্সারে আপ ও ডাউন দুটি লাইনে বসে পড়ে অবরোধ করছে বিক্ষোভকারীরা। উত্তর প্রদেশের বালিয়া স্টেশনে ট্রেনে ভাঙচুর করা হয়েছে। তাণ্ডব চালান হচ্ছে, ভাঙচুর ও লুঠপাট চালান হচ্ছে দোকান বাজারে। রীতিমত উন্মত্ত হয়ে উঠেছে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চার্জ করেছে।
চুক্তির ভিত্তিতে সেনায় নিয়োগ প্রকল্প বাতিল করার দাবি উঠেছে । যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পটিকে রূপান্তরমূলত প্রকল্প বলে অভিহিত করেছে। এতদিন অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলন উত্তর ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেই এদিন থেকে তা দক্ষিণভারতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিনেই তা হিংসাত্মক রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলনে প্রথম থেকেই সামিল হয়েছিল বিহার। এদিনও এই রাজ্যে অবরোধ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেনুদেবীর বাড়়ির সামনে এদিন বিক্ষোক্ষ প্রদর্শন করে আন্দোলনকারীরা। মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালান হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও মন্ত্রী বর্তমানে পাটনায় রয়েছেন।
অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলনের জেরে এখনও পর্যন্ত তিনটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। প্রায় ২০০ টি ট্রেনের চলাচলের ওপর প্রভাব পড়েছে। ৩৫টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এদিন অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আগুনের ওপর দিয়ে না হেঁটে মানুষের ধৈর্যের অগ্নিপরীক্ষা না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কথা শোনেন না। তিনি শুধুই তাঁর বন্ধুদের কথা শোনেন। অখিলেশ যাদব গোটা বিষয়টিতে মারাত্মক বলে আখ্যা দিয়েছেন।