
Ahmedabad plane crash: অবশেষে হদিশ মিলল আমেদাবাদে দুর্ঘটনার কবলে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১-র একটি ব্ল্যাক বক্সের। বিমানে সচরাচর দুটি করে ব্ল্যাক বক্স থাকে। একটি সামনের দিকে আর একটি পিছনে। দুটির মধ্যে একটি ব্ল্যাক বক্সের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেটি অক্ষত আছে। তবে, দ্বিতীয়টি পাওয়া যায়নি বলে খবর। আজ আমেদাবাদে গিয়েছেন প্রধাবমন্ত্রী।
বর্তমানে এই ব্ল্যাক বক্সটির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেটা খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর। ডিজিসিআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে ওই ব্ল্যাক বক্সটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটি খতিয়ে দেখতে দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে বলে খবর। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ভিতরের শেষ কথা, সতর্কতামূলক অ্যালার্ম এবং উড়ানের পথের তথ্য সংরক্ষণ - সবই থাকে ব্ল্যাক বক্সে। তবে, প্লেনের সামনের দিকের ব্ল্যাক বক্স পাওয়া যায়নি। সেটির এখনও খোঁজ চলছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, ওড়ার পর মুহূর্তে অন্তত ২৪২ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ঘটে দুর্ঘটনা। লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করার পরই ভেঙে পড়ে আহমেদাবাদ- লন্ডনগামী AI 171 বিমানটি ভেঙে পড়েছে। বিমানে ২৩০ জন যাত্রী-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যাদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন বেঁচে আছেন। বাকি সকলেই প্রয়াত। এই বিমানে যাত্রী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। এছাড়াও ৫৩ জন ব্রিটিশ, এক জন কানাডিয়ান, সাত জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। ছিলেন ১০ জন ক্রু সদস্য। জানা যাচ্ছে, এই বিমানে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। যিনিও প্রয়াত হন এই দুর্ঘটনায়।
এদিকে আবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ১৫ কিমি দূরে মেঘানী নগরের বিজে মেজিকেল কলেজের ইউজি হোস্টেলের মেসের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। ভেঙে পড়ার পরমুহূর্তে বিস্ফোরণ হয়। যে কারণ স্থানীয়দের প্রয়াণের আশঙ্কা আছে। বর্তমানে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০। তা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।
প্রসঙ্গত, চালু আছে হেল্প ডেস্ক। মন্ত্রক প্রকাশ করেছে হেল্পলাইন নম্বর। সেটি হল ০১১-২৪৬১০৮৪৩ এবং ৯৬৫০৩৯১৮৫৯। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা কত এখনও তা নিশ্চিত করা হয়নি। কারণ, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই বিমান ভেঁঙে পড়ে। সে কারণে মৃত্যু সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে অনুমান করছেন সকলে।