
Air India flight Black box recovered: শুক্রবার উদ্ধার হল আমেদাবাদে (Ahmedabad Plane Crash) দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স (Black box)। বৃহস্পতিবার দুপুরে যে ভবনে আঘাত করে এই বিমান, সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে ব্ল্যাক বক্স। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের (Ministry of Civil Aviation) পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হওয়ার ফলে এবার এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যেতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়ার আমেদাবাদ-লন্ডন বিমান (Ahmedabad-London Air India flight) দুর্ঘটনায় অন্তত ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (Aircraft Accident Investigation Bureau)। দুর্ঘটনাস্থলে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের পাশাপাশি গুজরাট সরকারের ৪০ জনেরও বেশি কর্মী তদন্তে যোগ দিয়েছেন।
যে কোনও বিমানের ব্ল্যাক বক্স সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিমান ধ্বংস হয়ে গেলেও, ব্ল্যাক বক্স অক্ষত থাকে। ব্ল্যাক বক্সে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (Flight Data Recorder) ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (Cockpit Voice Recorder) থাকে। ফলে বিমানে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল কি না, দুর্ঘটনার ঠিক আগে দুই পাইলট নিজেদের মধ্যে কী আলোচনা করছিলেন, সেসব জানা যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের পিছনের দিকে ছিল ব্ল্যাক বক্স। যে কোনও বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই কারণে বিমানের পিছনের দিকেই ব্ল্যাক বক্স রাখা হয়। দুর্ঘটনার পর বিমানের তাপমাত্রা ১,১০০ সেন্টিগ্রেডে পৌঁছে গেলেও ব্ল্যাক বক্সের কোনও ক্ষতি হয় না। আমেদাবাদে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিমানের তাপমাত্রা ১,০০০ সেন্টিগ্রেডে পৌঁছে গিয়েছিল। তাতেও ব্ল্যাক বক্সের ক্ষতি হয়নি।
ব্ল্যাক বক্সের পাশাপাশি এই দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিজিট্যাল ভিডিও রেকর্ডারস। দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানের কেবিন, ককপিটের সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে যে ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আরও কিছু ফুটেজ পাওয়া যায় কি না, সে বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছেন তদন্তকারীরা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।