বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে চাঞ্চল্য, উদ্বেগ প্রকাশ করল পাইলটদের আন্তর্জাতিক সংগঠন

Published : Jul 16, 2025, 07:44 AM IST
Ahmedabad Air India Plane Crash

সংক্ষিপ্ত

আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাইলটদের আন্তর্জাতিক সংগঠন। রিপোর্টে অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা এবং জ্বালানি সুইচ নিয়ে আগের সতর্কবার্তা উপেক্ষিত হওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে।

একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলছে না এখনও। আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ পাইলটদের আন্তর্জাতিক সংগঠন। জানা গিয়েছে, চার মাস আগেই বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ নিয়ে ব্রিটেন থেকে সতর্কবার্তা এলেও তা গ্রাহ্য করেনি। গ্রাহ্য করেনি এয়ার ইন্ডিয়া,ডিজিসিএ বা কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিববন মন্ত্রক। এর ফলে বেঘোরে প্রাণ গিয়েছে ১৭২ জনের। এখানেই শেষ নয়, আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার কথা কারও অজানা নয়। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে এই দুর্ঘটনায়।

এবার দুর্ঘটনার এক মাস পার হওয়ার পর রিপোর্ট এল প্রকাশ্যে। এই রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন পাইলদরে আন্তর্জাতিক সংগঠন। তাদের দাবি, এই রিপোর্টে অনেক ধোঁয়াশা আছে। অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা।

পাইলটদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোশিয়েশনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জানান হয়, যে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে তাতে মেলেনি বহু প্রশ্নের উত্তর। রিপোর্টকে অনুমান হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। একেবারেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছানো যেতে পারে। পাইলটদের আন্তর্জাতিক সংস্থার সাফ কথা, এই রিপোর্টকে প্রামাণ্য ধরে নিয়ে এখন কোনও রকম গুঞ্জন ছড়ানো উচিত নয়।

দুর্ঘটনার প্রায় ১ মাস পর প্রকাশ্যে এল ১৫ পাতার রিপোর্ট। এই রিপোর্টে আছে বিমান দুর্ঘটনার চূড়ান্ত মুহূর্তের প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবরণ। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিমানটি আকাশে ওড়ার পরই একজন পাইলট বুঝতে পেরেছিলেন উভয় ইঞ্জিনের জ্বালানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রিপোর্টে বিমানে দুটো ইঞ্জিনেরই বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেষ মুহূর্তে ককপিটে এক পাইলট অপরজনকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন ইঞ্জিনে জ্বালানি প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে। তাতে অপর পাইলট জ্বালানি সরবরাহ করার কথা অস্বীকার করেন। রিপোর্ট বলছে, প্রাথমিক ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে বিমানের প্রথম ইঞ্জিনের রিকভারি ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ইঞ্জিন চালু হওয়ার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে ১টা ৩৮ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে বিমানের গতিবেগ ঘন্টায় ১৮০ নট বা ৩৩৩.৩৬ কিমিতে পৌঁছায়। অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, আমেদাবাদে দুর্ঘটনার সময় ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের জরুরি ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল।

 

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

News Round Up: মোদীর রানাঘাটে জনসভা থেকে নানুরে তৃণমূল বুথ সভাপতি খুন- সারা দিনের খবর এক ক্লিকে
Babri Masjid Bengal : কেউ পক্ষে, কেউ সরব নিন্দায়! বঙ্গে বাবরি মসজিদ নিয়ে ফাটল খোদ মুসলিম সমাজেই!