সামনেই উৎসবের মরশুম। দুর্গাপুজো, নবরাত্রি, দশেরা, দিওয়ালি। আর এই উৎসবের মরশুমেই হামলার ছক কষছে জঙ্গির। ইতিমধ্যে রাজধানীতে ঢুকে পড়েছে জইশ-ই-মহম্মদের ৪ সশস্ত্র জঙ্গি। এমন সতর্কবার্তাই এসে পৌঁছেছে দিল্লি পুলিশের কাছে। এরপরেই উত্তর ভারতের সবকটি বিমানবন্দের বাড়ান হয়েছে নিরাপত্তা। সতর্কতা জারি করা হয়েছে গোটা দিল্লি শহরে, বিশেষ করে জনবহুল এলাকাগুলিতে।
জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেই বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়। যদিও ভয় পাওয়ার কিছু নেই, পরিস্থিতি নয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এমএস রনধাওয়া।
কাশ্মীর থেকে কেন্দ্র ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছে। তার বদলা নিতেই জঙ্গিরা বড়সড় হামলার ছক কষেছে বলে চলতি সপ্তাহে দেশের গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা, এই পরিকল্পনার আগাম আভাস পেয়ে আগেই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল।সন্ত্রাসবাদীরা ৩০ টি প্রধান শহরের নাম উল্লেখ করে হামলার হুমকি দেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সমস্ত রাজ্যকে এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। পাশাপাশি এই হুমকির বিষয়ে সজাগ থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনীকেও।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠী ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করেছে। সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যুরোর হাতে গত ১০ সেপ্টেম্বর তারিখে একটি হুমকি চিঠি আসে। হিন্দিতে লেখা সেই চিঠিতে নিজেকে জইশের এক সদস্য বলে দাবি করা শামসের ওয়ানি হুমকি দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের ৩৭০ অনুচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ নেওয়া হবে।