আক্রান্তই আজ জেরার মুখে, সোমবার সিটের মুখোমুখি ঐশীরা

Published : Jan 13, 2020, 11:20 AM ISTUpdated : Jan 13, 2020, 12:47 PM IST
আক্রান্তই আজ জেরার মুখে, সোমবার সিটের মুখোমুখি ঐশীরা

সংক্ষিপ্ত

আক্রান্তই এবার জেরার মুখে সোমবার সিটের মুখোমুখি ঐশী ঘোষ ঐশী-সহ ৩ বামছাত্রকে জেরা করবে পুলিশ আক্রমণকারীদের ছেড়ে কেন আক্রান্তকেই জেরা, উঠছে প্রশ্ন

আক্রান্তের বিরুদ্ধেই এফআইআর করে কার্যত দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল দিল্লি পুলিশ। সোমবার সেই আক্রান্তকেই জেরা করতে চলেছে তারা। এদিন ঐশী ঘোষকে জেরা করবে সিটের নেতৃত্বাধীন দিল্লি পুলিশের দুঁদে গোয়েন্দারা।

মুখে কাপড়-বেঁধে রড আর হকি স্টিক নিয়ে জেএনইউতে হামলাকারীদের কাউকেই এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার তো দূরের কথা, আটক পর্যন্ত করেনি দিল্লি পুলিশ। অথচ রীতিমতো ছবি প্রকাশ করে ঐশী ঘোষদের দোষী সাব্যস্ত করায় তাদের অতি সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি। দিনকয়েক আগে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্য়ালয়ের হোস্টেলে রড আর হকিস্টিক হাতে নিয়ে  হামলা চালায় কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ ও অধ্য়াপক সুচরিতা সেন গুরুতর আহত হন। তাঁদের এইমসে ভরতি করতে হয়।  ওই ঘটনায় অভিযোগের তীর ওঠে এবিভিপির দিকে। যদিও এবিভিপি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনায় দায় চাপায়  বামেদের ঘাড়ে । অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের চাপানউতোরের মাঝেই দিল্লি পুলিশ ছবি প্রকাশ করে দাবি করে, হোস্টেলে হামলায় হাত ছিল ঐশী ঘোষদের। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। এফআইআর করা হয় ঐশী ঘোষ-সহ আন্দোলনকারীদের নামে। যার প্রেক্ষিতে সোশাল মিডিয়ায় এমন মিমও দেখা যায় যে, গডসের হাতে গান্ধি খুন হওয়ার পর পুলিশ গান্ধির বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করছে।

এদিকে এই ঘটনায় স্টিং অপারেশন চালায় মিডিয়া। তাতে করে উঠে আসে যে ঘটনার মূল চক্রী ছিলেন এবিভিপির এক ছাত্রনেতা। ওই ভিডিয়ো ফুটেজের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ ওই পড়ুয়াকে ডাকে। যদিও  তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেন তিনি।

এই পরিস্থিতিতেই সোমবার দিল্লি পুলিশের জেরার মুখে পড়তে চলেছেন ঐশী ঘোষরা। এশী ঘোষ-সহ তিন বামছাত্রকে এদিন জেরা করবে সিট। সেদিন কারা সার্ভার রুমে হামলা চালিয়েছিল, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় কারা বাধা দিচ্ছিল, সব প্রশ্নেরই মুখোমুখি হতে হবে ঐশীদের, অনুমান করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, দিল্লি পুলিশের ডিসিপি  জয় তিরকে, যিনি ঐশীদের ছবি প্রকাশ করে অভিযুক্ত করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধেই তোলাবাজির  অভিযোগে দিল্লি পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত চালিয়েছিল বলে শোনা গিয়েছে। এমনকি, এক হেড কনস্টেবল-সব তিনজনকে গুলি চালানোর অভিযোগও নাকি উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আর এসব কিছুই প্রকাশ্য়ে  এনে আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে নিরপেক্ষেতা আশা করা যায় এই পুলিশ অফিসারের কাছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

School Holidays: পড়ুয়াদের জন্য সুখবর, কাল থেকে টানা ছুটি! কবে খুলবে স্কুল ?
কোথায় গেল ভারতের সেই পারমাণবিক ডিভাইস? যেটি তৈরি হয়েছিল চিনের ওপর নজরদারি চালাতে