গত বছর ভারতীয় বায়ুসেনার এক উইং কমান্ডার, অভিনন্দন বর্তমান সারা দেশকে গর্বিত করেছিলেন। আর এবার সেই একই বাহিনীর আরেক উইং কমান্ডার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর ভেক ধরে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনকে ফোন করতে গিয়ে ধরা পড়ে নাম ডোবালেন বায়ুসেনার। রাজ্যপুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) ওই সিনিয়র আইএএফ অফিসারকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু কেন অমিত শাহ সাজতে গেলেন তিনি? কারণ জানলে অবাক হবেন।
ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনী (আইএএফ)-এর উইং কমান্ডার কুলদীপ বাঘেলা বর্তমানে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর বন্ধু চন্দ্রেশকুমার শুক্লা থাকেন মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। তিনি পেশায় একজন ডেন্টিস্ট। এই বন্ধুটিকে জব্বলপুরের মধ্যপ্রদেশ মেডিকেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য করার জন্যই বায়ুসেনার এই অফিসারের এই অধঃপতন।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, আইএএফ অফিসার ও ওই ডেন্টিস্ট, দু'জনেই এই ষড়যন্ত্রের ভাগিদার। রাজ্যপালের কার্যালয়ে ফোন করে প্রথমে চন্দ্রেশকুমার শুক্লা তাঁর পরিচয় দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে। বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলতে চান।
আরও পড়ুন - নাড্ডার হাতে ব্যাটন তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি তুঙ্গে, কবে পাচ্ছেন সভাপতির তাজ
আরও পড়ুন - অমিত শাহের সভায় সিএএ-বিরোধী পোস্টার, মাথার ছাদ খুইয়ে খেসারত দিতে হল দুই মহিলাকে
আরও দেখুন - 'অমিত শাহের টাকে চুল গজালেও বাংলায় এনআরসি হবে না', অশালীন আক্রমণ কল্যাণের
আরও পড়ুন - পাক মিউজিয়ামে বসল অভিনন্দনের মূর্তি, অপমানের পাল্টা উঠল ৯৩০০০ পাক সেনার কথা
এরপর, রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন ফোন ধরলে অমিত শাহ হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে চন্দ্রেশকুমারকে ওই মেডিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করার সুপারিশ করেন উইং কমান্ডার কুলদীপ বাঘেলা। তবে সতর্ক ছিলেন রাজ্যপালের বাসভবনের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। ওই ফোন কলটি তাঁদের সন্দেহজনক মনে হয়। কেউ জালিয়াতি করার চেষ্টা করছে বুঝে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। আর তাতেই ফাঁস হয় পুরো বিষয়টি।