কিছুদিন আগে যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন ওয়াইসি-কে হনুমান চল্লিশা পড়তে দেখা যাবে।
তা না হলেও প্রায় একই রকমের এক ঘটনা ঘটল।
কালিমন্দির সংস্কারের কাজে উদ্যোগী হলেন ওয়াইসি।
তবে আসাদউদ্দিন নয়, তাঁর ভাই আকবরউদ্দিন।
হায়দরাবাদের লাল দরওয়াজার কাছের সিংহবাহিনী মহাকালী মন্দির। শতাব্দীপ্রাচীন এই মন্দিরের সংস্কারের কাজেই হাত দিতে চলেছেন তেলেঙ্গানা বিধানসভার অলইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদ মুসলিমিন দলের পরিষদীয় নেতা আকবরউদ্দিন ওয়াইসি। এর জন্য রবিবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর সঙ্গে সাক্ষাত করে তিনি ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
চন্দ্রায়নগুট্টা-র বিধায়ক রবিবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। তাতে তিনি জানান, শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরে বিপুল ভক্ত সমাগম হয়। কিন্তু এই মন্দির গঠিত মাত্র ১০০ বর্গগজ এলাকায়। এর ফলে ভক্তদের খুবই অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। কিন্তু মন্দিরের এলাকা বাড়াতে গেলে ওই অঞ্চলে বসবাসকারী অনেককেই ভিটেমাটি হারাতে হবে। এদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ফরিদবাজার এলাকায় ৮০০ বর্গগজ করে বাসস্থানের বন্দোবস্ত করার জন্য়ও তেলেঙ্গানা সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন আকবরউদ্দিন।
কিছুদিন আগে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক টিভি শো-তে হনুমান চল্লিশা পাঠ করেছিলেন। তারপর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কটাক্ষ করে বলেছিলেন 'আগামীদিনে ওয়াইসি-কেও হনুমান চল্লিশা পড়তে দেখা যাবে'। তিনি বলেছিলেন এআইমিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির কথা। আসাদউদ্দিন না হলেও তার ভাই আকবরউদ্দিন হনুমান চল্লিশা পাঠের বদলে মহাকালী মন্দির সংস্কারে হাত দিলেন।
তবে শুধু মহাকালী মন্দির নয়, আফজলগঞ্জের মসজিদ সংস্কারের জন্যও কেসিআর-এর কাছ থেকে ৩ কোটি টাকার সাহায্য চেয়েছেন। এই মসজিদের কাঠামোর সংস্কারের দরকার। নামাজ পড়ার সময় নামাজিরা সমস্যায় পড়েন বলে জাবনিয়েছেন আকবরউদ্দিন। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এই দুই ধর্মস্থলের সংস্কারের জন্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।