শনিবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর প্রকাশিত সবকটি জনমত সমীক্ষাতেই দেখা গেছে এগিয়ে রয়েছে আম আদমি পার্ট। গত লোকসভা ভোটেরও পুনরাবৃত্তি হচ্ছে ২০২০ সালেও। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় আসছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লড়াইয়ে দ্বিতীয় হিসাবে শেষ করছে নরেন্দ্র মোদীর দল। যদিও বিজয়ী জলের সঙ্গে বিজেপির ফারাক থাকবে বিস্তর। তবে কংগ্রেসের অবস্থা থাকবে সেই তিমিরেই। গতবার যেখানে শূন্য আসনে শেষ করেছিল শতাব্দী প্রাচীন দল এবার সেখানে বড়জোড় খাতা খুলতে পারে কংগ্রেস।
মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলঘোষণা। জনমত সমীক্ষায় এর রায় স্বাভাবিক নিয়মেই মুখের হাসি চওড়া করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর দলের। যদিও এই জনমত সমীক্ষাকে একেবারেই পাত্তা দিতে রাজি নয় কংগ্রেস। ১১ ফেব্রুয়ারির ফলাফল সকলকে চমকে দেবে বলে দলীয় কর্মীদের ভরসা দেওয়ার চেষ্টা করছে সনিয়া গান্ধীর দল।
আরও পড়ুন: শাহিনবাগে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলবে না, কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে সুপ্রিম নোটিস
১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল টানা ১৫ বছর দিল্লিতে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই দলের ঝুলিতে আসেনি একটিও আসন।
"সবাই জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করছ। কিন্তু আমি নিশ্চিত, ১১ ফেব্রুয়ারির ফলাফল সকলকে অবাক করে দেবে।" সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র মুকেশ শর্মা।
দলের প্রতিটি প্রার্থী নিজের সর্বশক্তি দিয়ে লড়েছে। দাবি করেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি সুভাষ চোপড়া। তিনি আরও বলেন, "কংগ্রেসে অন্তত ২০ জন প্রার্থী রয়েছেন, যারা ত্রিমুখী প্রতিযোগিতায় জোর লড়াই করবে। আমরা এই জনমত সমীক্ষার ফলাফলকে প্রত্যাক্ষান করছি।"
এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জোট বেঁধেছিল কংগ্রেস। ৭০টি আসনের দিল্লি বিধানসভায় ৬৬টিতে এবার প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। আরজেডি লড়েছে ৪টি আসনে।
আরও পড়ুন: সুস্থ হওয়ার পথে ভারতের প্রথম করোনা রোগী, মারণ ভাইরাস নিয়ে নাজেহাল ব্রিটিশ সরকার
তবে সংখ্যালঘু ভোটারদের ভোটব্যাঙ্ক যে বড় ফ্যাক্টার তা মানছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সংখ্যালঘু ভোট আপে না গেলে কমপক্ষে ১০টি আসন আসবে বলেই আশাবাদী হাত শিবির।
গত শনিবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬২.৫৯ শতাংশ। ২০১৫ সালে ভোট পড়েছিল এর থেকে বেশ কিছুটা বেশি ৬৭.৪৭ শতাংশ। তাতেই আপের ফিরে আসার সম্ভাবনা আরও বেশি উজ্জ্বল হয়েছে। উন্নয়নের নামেই এবার দিল্লি বিধানসভায় ভোটপ্রচার চালিয়েছে কেজরিওয়ালের দল। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদকে হাতিয়াড় করে ময়দানে নেমেছিল পদ্মশিবির।