কৃষকদের নোটিশ পাঠিয়ে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়তে চলেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। কারণ সাধারণতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কায় উত্তর প্রদেশ সরকার স্থানীয় কৃষক নেতাদের ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডের নোটিশ পাঠিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। দরিদ্র কৃষকদের শান্তি লঙ্ঘনের জন্য কী করে এই নোটিশ পাঠান হল তা জানতে চেয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আগামী দোশরা ফেব্রুয়ারির মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।
গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানী লখনউ থেকে থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সীতাপুর জেলায় ট্র্যাক্টর মালিক কৃষকদের এই নোটিশ পাঠান হয়েছিল। সেই নোটিশেই কৃষকদের বলা হয়েছিল ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত বন্ড জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে সেই ব্যক্তি বা মহিলা যদি কৃষক বিক্ষোভে সামিল হয়ে আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও মহিলাকে একই পরিমাণ টাকা জামিন হিসেবে দিতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
নেটিজেনদের কাছে মজার খোরাক পদ্মশ্রী চিকিৎসক, ভাইরাল স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ ...
সোমবার হাইকোর্টে সমাজকর্মী অরুন্ধুতী ধুরুর দায়ের করা আবেদনের শুনানি হয়। যেখানে তিনি বলেছিলেন, সীতাপুরের কয়েকশো কৃষক এজাতীয় নোটিশ পেয়েছেন। ব্যক্তিগত বন্ড ও জামিনের টাকার পরিমাণ অত্যাধিক বেশি। দরিদ্র কৃষকদের কাথ থেকে এত টাকা চাওয়া যাবে না। স্থানীয় পুলিশ কর্মীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে কৃষকদের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগও দেওয়া হয়নি। এসডিএম বা উপবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক কৃষকদের জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, 'লক্ষ্য করা গেছে কৃষক আইন নিয়ে প্রতিবাদ করার কারণে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেই কারণে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে, ব্যাহত হতে পারে।তাই উভয় পক্ষকেই নোটিশের মাধ্যমে আবদ্ধ রাখা আবশ্যক।' ১০ জন কৃষককে নোটিশা পাঠান হয়েছিল। যাদের দুদিনের মধ্যে স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি তাঁদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল কেন তাঁরা ব্যক্তিগত বন্ডে স্বাক্ষর করবেন না।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের দুই বিচারপতিরে বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। আদালতের পক্ষ থেকে জানান হয় রাজ্যে কৃর্তৃপক্ষ যে বিজ্ঞপ্তিগুলি জারি করেছেন সেগুলি কেবল ভিত্তিহীন নয়, একজন ব্যক্তির মৌলিক অধিকারও হরণ করবে এটি। এটি অনেকটা সেরকম, যখন পুলিশ কৃষকদের বাড়িঘর ঘিরে রেখে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেবে না।