
India Pakistan Conflict News: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত ভারত-পাক সম্পর্ক। হামলা বনাম পাল্টা হামলায় দুই দেশের সম্পর্ক একেবারে তলানীতে ঠেকেছে। তবুও যেন হুঁশ জ্ঞান নেই দেশের ই-কমার্স সাইটগুলির। অনলাইনে দেদার চলছে পাকিস্তানের পতাকা বিক্রি (Pakistan Flag)। পাক পতাকা বিক্রির অভিযোগে এবার বেশকিছু ই-কমার্স সংস্থাকে নোটিস দিলো কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
সরকারি সূত্রে খবর, জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট flipkart, Amazon সহ ইউবাই ইন্ডিয়া, দ্য ফ্ল্যাগ কোম্পানি, দ্য ফ্ল্যাগ কর্পোরেশনের মতো বড় বড় ই-কমার্স কোম্পানিগুলিকে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। যাতে অতিদ্রুত তারা ফ্ল্যাগ বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে। সূত্রের খবর, ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে অনলাইনে দেদার বিক্রি হচ্ছে পাকিস্তানী পতাকা। বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের।
জানা গিয়েছে, বিষয়টি জানিয়ে তিনিই প্রথম চিঠি দেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে। ওই চিঠিতে তিনি জানান, দেশের একাধিক অনলাইন সাইটে শত্রু দেশের পতাকা সহ একাধিক জিনিস বিক্রি হচ্ছে। দ্রুত ওই সব জিনিস বিক্রি বন্ধের জন্য ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রীরে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। তার পরই বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
কেন্দ্রের তরফে পাক পতাকা সহ অন্যান্য দ্রব্য বিক্রি বন্ধের নোটিস যায় সিসিপিএ আমাজন, ফ্লিপকার্ট, ইউবাই ইন্ডিয়া, ইটসি, দ্য ফ্ল্যাগ কোম্পানির কাছে। এই বিষয়ে নিজের 'এক্স' হ্যান্ডেলে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, এই ধরনের দেশবিরোধী কাজ বরদাস্ত করা হবে না। অবিলম্বে ই-কমার্স সাইটগুলি থেকে পাক পতাকা বিক্রি বন্ধ করতে হবে। দেশবাসীর ভাবাবেগে আঘাত লাগবে এই রকম অসংবেদনশীলতা সহ্য করা সম্ভব নয়। ফলে অবিলম্বে এই সব দেশবিরোধী জিনিস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আইন মেনে অনলাইন সংস্থাগুলিকে ব্যবসা করার পরামর্শও দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, 'অপারেশন সিঁদুর'-এ (Operation Sindoor) শুধু জঙ্গিরাই খতম হয়নি, তাদের সাহায্য করতে আসা তুরস্কের সেনাবাহিনীর দুই সদস্যও প্রাণ হারিয়েছে। পাকিস্তানে যে সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীরা একসঙ্গে কাজ করে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। কিন্তু তুরস্কের সেনাবাহিনী (Turkish military) সব জেনেও কেন সরাসরি জঙ্গিদের সাহায্য করল? এ বিষয়ে মুখ খুলছে না পাকিস্তান সেনা ও সরকার। তুরস্ক সরকারও মুখে কুলুপ এঁটেছে। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য পাকিস্তানকে ৩৫০-এরও বেশি ড্রোন সরবরাহ করে তুরস্ক। শুধু তাই নয়, এই ড্রোন কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়েও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে (Pakistani Army) সাহায্য করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনীর পরামর্শদাতারা। চারদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের যে সংঘর্ষ চলেছে, তাতে তুরস্কের বড় ভূমিকা ছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৭ মে রাতে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে সেনা পরিকাঠামোয় আঘাত হানার লক্ষ্যে ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। এখন সেই ড্রোনগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই হামলায় তুরস্কের হাত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি (Colonel Sofiya Qureshi) জানিয়েছেন, ‘যে ড্রোনগুলির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এগুলি তুরস্কের অ্যাসিসগার্ড সোনগার ড্রোন (Turkish Asisguard Songar drones)। ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী এই ধরনের অনেক ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পরীক্ষা করা এবং গোপন তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যেই এত বড় আকারে আকাশপথে হামলা চালায় পাকিস্তান।’
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।