সামরিক বৈঠকের পর কূটনৈতিক বৈঠকেও লাদাখ সীমান্তের সমস্যার মেটেনি। এই আবস্থায় চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা যে পিছিয়ে আসবে না তার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই পেতে শুরু করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পড়েছে সেই ছবি। আর সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করার পরই গোয়েন্দারা দাবি করছেন গালওয়ান সীমান্তের ওপারে রীতিমত সক্রিয় চিনা সেনা।
গালওয়ান সীমান্তেরওপারে ইতিমধ্য়েই তৈরি হয়েছে রাস্তা। বেশ কয়েকটি সেতুও নির্মাণ করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড ও সেনা বাহিনীর জন্য শিবির। মে মাসের পর থেকেই নির্মাণ কাজ চলছে বলেও দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার সেনা এই এলায়ায় মোতায়েন রয়েছেন। সেনা সূত্রের খবর ভারতীয় সীমান্ত সমলগ্ন এলাকায় এখনও চিনা সেনা মোতায়েন রয়েছে। সেই সেনাদের ব্যাক আপের উদ্দেশ্যেই গালওয়ানের অপর প্রাপ্তে ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র পাওয়া তথ্যে জানা গেছে গালওয়ান সীমান্তের ওপারে যেমন চিনা নির্মাণ কাজ চলছে তেমনই নির্মাণকাজ চলছে আকসাই চিনের দখল করে রাখা লানাক লা এলাকাতেও। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চিনারা লানাক লা থেকে কিরগিমো ট্র্যাগার পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার লম্বা এলটি রাস্তা তৈরি করেছে। কিরগিমো ট্র্যাগার গোগরা থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে। গোগরা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সেনা সরানো হয়নি বলেই দাবি করছে ভারত।
চিনা সেনার এই তৎপরতা দেখেই ভারতীয় সেনা কর্তারা মনে করছেন আপাতত লাল ফৌজ দীর্ঘ মেদায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শীতকালেও তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় থেকে সরবে না বলেও দাবি করেছেন ভারতীয় সেনা কর্তারা। কারণ চিনা সেনাদের সেইরকম প্রস্তুতির ছবিই ধারা পড়েছে। সূত্রের খবর বেশ কয়েকটি এলাকায় ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল। বসানো হয়েছে রেডার।
শিবের বাড়ি কৈলাসেও নজর চিনাদের, এয়ার মিসাইল বসানোয় প্রশ্ন উঠছে হিন্দুদের তীর্থ নিয়ে ...
পাল্টা হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারত। কারণ ইতিমধ্যেই সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে। শীতকালের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় বাহিনী। অতিরিক্ত ৩০ হাজার সেনাও মোতায়েন থাকছে চিনা সেনার মোকাবিলা করার জন্য।
উত্তরাখণ্ড সীমান্তে সক্রিয় লাল ফৌজ বাড়াচ্ছে নজরদারি, সতর্ক করল গোয়েন্দারা ...