লাদাখ থেকে অরুণাচল জাল বিছিয়েছে লাল ফৌজ, কৈলাসের মত রণসজ্জা ডোকলাম ও সিকিম সীমান্তে

  • ডোকলাম আর লাকুলা পাসে তৎপর চিনা সেনা
  • তৈরি হয়েছে মিসাইল সাইট 
  • ডোকলাম সংঘর্ষস্থল থেকে কিছু দূরেই মিসাইল সাইট
  • গোয়েন্দা রিপোর্ট ঘিরে উত্তেজনা 

Asianet News Bangla | Published : Aug 31, 2020 6:06 AM IST

কৈলাসের পর এবার নাকুলা পাস আর ডোকালাম নিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা রীতিমত তৎপর ডোকালাম আর সিকিম সীমান্তের নাকুলা পাস এলাকায়। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সদ্যো পাওয়া একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে ভারতের পূর্ব সীমান্তেও রীতিমত তৎপরতা বাড়িয়েছে লাল ফৌজ। 

ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক কর্তা জানিয়েছেন উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে অরুণাচালের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা বরাবর এলাকায় শুরু হয়েছে নির্মাণকাজ। আর সেইজন্যই পূর্ব লাদাখ সেক্টরের মতই এলাকায় এলাকায় সীমান্ত উত্তাপ আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হয়েছে। 
 

ভারতীয় গোয়েন্দাদের একটি সূত্র বলছে ডোকলামে চিন-ভারত আর ভূটান এই তিনটি দেশের সংযোগস্থলে আবারও সক্রিয়তা বাড়িয়েছে চিন। ২০১৭ সালে ডোকলামের ভারত-চিন সংঘর্ষের পর কিছুদিন হলেও তা বন্ধ ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে চলতি বছর মে মাস থেকেই এই এলাকায় লাল ফৌজের তৎপরতা বেড়েছিল। বর্তমানে তৈরি হয়েছে মিসাইল সাইট। মূলত ভূমি থেকে বাতাসে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কেন্দ্র  হিসেবেই এই স্থানটি ব্যবস্থার করার পরিকল্পনা নিয়েছে চিনা সেনা।  আর সেই সাইট সংলগ্ন একটি রাস্তাও তৈরি হয়েছে। আর সেই এলাকাটি ডোকলামের সংঘর্ষ স্থান থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে। ডোকলাম ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে চিনা সীমান্তের রীতিমত কড়া নজরদারি চালায় ভারত। নিয়মিত টহল দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে দুর্গম পার্বত্য এলাকায়।  আসন্ন শীতকালেও যাতে নজরদারী বজায় রাখা যায় সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভারতীয় সেনা। 

ইজরায়েলি অ্যাওয়াকস হবে লাদাখ সীমান্তের ভারতীয় বাহিনীর চোখ, নজর রাখবে লাল ফৌজের গতিবিধির ওপর .

গালওয়ান সংঘর্ষের পরই চিনকে হুংকার, দক্ষিণ চিন সাগরে পাল্টা রণতরী পাঠিয়েছিল ভারত ...

২০১৭ সাল থেকেই ডোকলামেরে দিকে কুনজর পড়েছিল চিনা সেনার। আর এলাকায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য বেজিং ভূটানের ওপর চাপ তৈরি করে যাচ্ছে। এলাকা থেকে ভূটানকে সরিয়ে দিতে মরিয়া শি জিংপিং প্রশাসন। ভূটান সরে গেলে এই একায় ভারতের মূল প্রতিপক্ষ হয়ে হিসেবেই চিহ্নিত হবে চিন। আর সেই উদ্দেশ্যেই এই এলাকায় রীতিমত তৎপর হয়ে উঠেছে চিনা সেনা। 

ভারতের সেরামের করোনা প্রতিষেধকের দিকে তাকিয়ে প্রতিবেশী, জানিয়েছে বাংলাদেশের বেক্সিমকো

Share this article
click me!