ইজরায়েলি অ্যাওয়াকস হবে লাদাখ সীমান্তের ভারতীয় বাহিনীর চোখ, নজর রাখবে লাল ফৌজের গতিবিধির ওপর

Published : Aug 27, 2020, 07:08 PM IST
ইজরায়েলি অ্যাওয়াকস হবে লাদাখ সীমান্তের ভারতীয় বাহিনীর চোখ,  নজর রাখবে লাল ফৌজের গতিবিধির ওপর

সংক্ষিপ্ত

ইজরায়েল থেকে নজরদারী যন্ত্র কিনছে ভারত দুটি ফ্যালকন অ্যাওয়াকস কেনার সিদ্ধান্ত  পূর্ব লাদাখ সীমান্তে নজরদারী বাড়াতে উদ্যোগ অ্যাওয়াকসে চিন পাকিস্তান অনেকবেশি শক্তিশালী   

পূর্ব লাদাখ সীমান্তে নজরদারী বাড়াতে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখায় নজরদারী চালানোর জন্য ইজায়েল থেকে আরও দুটি ফ্যালকন এয়াররোর্ন আর্লি  ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম বা অ্যাওয়াকস কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হতে পারে। পাশাপাশি তৎক্ষণাতই চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যাবে বলেও মনে করছেন নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক। 

সেনাবাহিনী সূত্রে খবর এই মুহূর্তে ভারতীয় বায়ু সেনার হাতে রয়েছে তিনটি ফ্যালকন অ্যাওয়াকস। এর মূল কাজ হল ভারতীয় যুদ্ধ বিমানগুলিকে নিখুঁতভাবে লক্ষ্য চিহ্নিত করতে সাহায্য করা। পাশাপাশি প্রতিপক্ষের শিবিরে সেনাবাহিনী ও  যুদ্ধ বিমানের তৎপরতার ওপর নজরদারী চালান। রাশিয়ার তৈরি সামরিক পরিবরণ বিমান আইএল-৭৬এ বসানো হয়েছে ইজরায়েলি নজরদারী যন্ত্রগুলি। 

লাল ফৌজকে রুখতে রাশিয়ান ইগলা এয়ার মিসাইল , লাদাখে চিন সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত ...

আগামী মাসেই দুই যুযুধান প্রতিবেশীর সঙ্গে সেনা মহড়ায় ভারত, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দৃষ্টান্ত হবে রাশিয়...
অ্যাওয়াকস-এর সংখ্যার বিচারে ভারতের অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে চিন। লালফৌজের হাতে রয়েছে ২৮টি  নজরদারি যন্ত্র। আর পাকিস্তানের কাছে রয়েছে ৭টি। চিনের অ্যাওয়াকস ৪০০ কিলোমিটার পাল্লায় ৩৬০ ডিগ্রি ক্ষেত্রজুড়ে নজরদারি চালাতে পারে। সেখানে ভারতের তৈরি যন্ত্রগুলির পরিধি ২৪০ ডিগ্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ভারতের তৈরি এই যন্ত্রের নাম নেত্র।  পাশাপাশি পাকিস্তানের হাতে থাকা চিনা কারাকোরাম ইহল ডেজডিক-০৩ ও সুইডেনের সাব-২০০০ অ্যাওয়াকস ভারতীয় নেত্রের থেকে অনেকটাই উন্নত। কিন্তু ভারতের হাতে যে দুটি ইজরায়েলি অ্যাওয়কস যন্ত্র রয়েছে তার একটি ব্যবহার করেই ভারতীয় বাহিনী রীতিমত সাফল্য পপেয়েছে বালাকোটের জঙ্গি শিবির ধ্বংস করতে। ১২টি মিরাজ-২০০০ ফাইটার জেটকে সফলভাবে চালনা করতে পেরেছিল এই একটি ইজরায়েলি অ্যাওয়াকস। 

পরীক্ষার্থীরা চাইছে যে কোনও মূল্য জেইই ও নিট পরীক্ষা দিতে, দাবি করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ..

দুটি ফ্যালকনের পাশাপাশি আরও কিছু প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। যার জন্য প্রয়োজন হবে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। আর দুটি অ্যাওয়াকসের দাম পড়বে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। 

PREV
click me!

Recommended Stories

বিএলও-দের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
বন্দে মাতরম সম্পাদনা কি দেশভাগের কারণ? অমিত শাহের মন্তব্যে তোলপাড়