কথা দিয়েছিলেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধীদের সব প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি। আর সেই জবাবদিহি করার ফাঁকেই সুযোগ পেলেই বিরোধীদের খোঁচা দিতে ছাড়লেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিশেষত কংগ্রেস এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নাগরিকত্ব বিলের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তোলায় পাল্টা কংগ্রেসকেই একই অস্ত্রে বিঁধতে ছাড়েননি অমিত শাহ।
সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পেশ হওয়ার আগে বিলের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি ছিল, এই বিল ভারতের সংবিধান বিরোধী। কারণ এই বিলের ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যা ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশের উদ্দেশ্যের পরিপন্থী।
আরও পড়ুন- 'ছ' বছরে প্রথম বলতে শুনলাম', সংসদে অভিষেককে খোঁচা দিলেন অমিত শাহ
আরও পড়ুন- বারো ঘণ্টার বিতর্কের পর পাশ নাগরিকত্ব বিল, এবার চ্যালেঞ্জ রাজ্যসভায়
জবাবি ভাষণে অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই পাল্টা খোঁচা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'অধীরবাবু নিজের বক্তব্যে বার বার ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেন। আমি দেশের মানুষকে বলতে চাই, কংগ্রেস এমন একটি দল, কেরলে তাঁদের শরিক মুসলিম লিগ। আবার মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের শরিক শিবসেনা। কংগ্রেসের মতো অসাম্প্রদায়িক দল আমি জীবনে সত্যিই দেখিনি।'
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য শোনার পরই হাসিতে ফেটে পড়েন বিজেপি এবং তাদের শরিক দলের সাংসদরা। পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস শিবির। লোকসভায় ফের একবার প্রবল হইহট্টগোল শুরু হয়।
কংগ্রেসের যাবতীয় অভিযোগ অবশ্য তাদের দিকেই ফিঁরিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। দাবি করেছেন, স্বাধীনতার পর দেশ ভাগ হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতেই। এমন কী, কংগ্রেস আমলেও ধর্মের ভিত্তিতেই বার বার উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বার বারই দাবি করেছেন, এই বিল কোনওভাবেই সংখ্যালঘু বিরোধী নয়। দেশে যে সংখ্যালঘুরা বাস করছেন, এই বিল আইনে পরিণত হলে তাঁদেরও কোনও সমস্যা হবে না বলে দাবি অমিত শাহ। জোর গলায় তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের একটাই ধর্ম। আর তা হল দেশের সংবিধান।