সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ১ নম্বর গেটের কাছে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১০ জন। রাতেই ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না বলে আগেই জানিয়ে ছিলেন। মঙ্গলবার দিল্লিকাণ্ডে তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। জানান, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক দোষী খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। এবং ,তদন্তে যা উঠে আসবে তা জানানো হবে আমজনতাকে।
25
দিল্লিতে বৈঠকে অমিত শাহ
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অধিকর্তা তপন ডেকা, দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা এবং এনআইএ-র ডিজি সদানন্দ বসন্ত। ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশপ্রধান নলিন প্রভাত। সেই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরে আবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তদন্তকারী সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা সেই বৈঠকে যোগ দেন। পরে বৈঠকের নির্যাস নিজেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানান শাহ।
35
সমাজ মাধ্যমে কী জানিয়েছেন অমিত শাহ?
এদিন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে অমিত শাহ লেখেন যে- ‘’দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। এবার অপরাধীরা দেখবে তদন্তকারী সংস্থাগুলির ক্রোধের সীমা।''
বিস্ফোরণের পরপরই, শাহ দিল্লি পুলিশের কমিশনার এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেন এবং এনআইএ, এনএসজি, এফএসএল ও দিল্লি পুলিশকে নিয়ে একটি সমন্বিত, বহু-সংস্থার তদন্তের নির্দেশ দেন। সমস্ত সংস্থাকে বিস্ফোরণের প্রকৃতি এবং কারণ নিয়ে একটি বিস্তারিত তদন্ত করতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
55
লস্কর-ই-তৈবার যোগসাজশের দাবি
মঙ্গলবার সকালে, ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (এফএসএল) একটি দল ঘটনাস্থলে আবার যায় অতিরিক্ত প্রমাণ সংগ্রহের জন্য। এদিকে এনআইএ এবং এনএসজি কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল তা নির্ধারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, দিল্লি পুলিশ একটি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও খতিয়ে দেখছে, যেখানে সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে হওয়া তীব্র বিস্ফোরণে লস্কর-ই-তৈবার (এলইটি) যোগসাজশের দাবি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে আই-২০ গাড়িটির সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার যোগসূত্র পাওয়া গেছে। সূত্র আরও জানিয়েছে যে, যে আই-২০ গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটেছিল, সেটি পুলওয়ামার এক বাসিন্দা কিনেছিলেন বলে অভিযোগ।