পার্কিং-বিবাদ থেকে বেধাড়ক মার, নেপথ্যে তরুণীর ভুয়ো অভিযোগ, প্রশ্নের মুখে নারীবাদ

গাড়ি পার্ক করা নিয়ে বিবাদ, তার জের গড়ালো বহুদূর। দুই তরুণতে পিটিয়ে তাদের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলেন এক তরুণী। অবশেষে মামলা দোষী চার ছাত্রের বিরুদ্ধে। বিচার চাইছে সোশ্যাল মিডিয়া।

 

amartya lahiri | Published : Sep 3, 2019 2:29 PM IST / Updated: Sep 03 2019, 10:53 PM IST

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত বুধবার। গাড়ি পার্ক করা নিয়ে বিবাদ, আর তার জেরে এক তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছিল নয়ডার সেক্টর ৩৯ থানার পুলিশ। কিন্তু, এর প্রায় একসপ্তাহ পর জানা গেল ঘটনার পিছনে অন্য গল্প রয়েছে। যার জেরে নয়ডার অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করল পুলিশ।

জানা গিয়েছে, গত বুধবার হর্ষ নামে এক ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গাড়ি পার্ক করতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই আরেকটি গাড়ি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন এক ছাত্রী। গাড়ি পার্ক করার জন্য তাঁকে ওই গাড়িটি একটু সরাতে বলেছিলেন হর্ষ। এই সামান্য বিষয় নিয়েই তর্ক জুড়ে দেন ওই ছাত্রী। তখনকার মতো দুইজন সেই জায়গা ছেড়ে চলে গেলেও পরে ওই ছাত্রী ২৫-৩০ জন ছেলে বন্ধুকে নিয়ে এসে হর্ষের উপর চড়াও হয়। তাঁকে বাঁচাতে যান হর্ষের বন্ধু মাধব। দুজনকেই বেধারক মারধোর করা হয়। দুজনকেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে মাধব এখনও আইসিইউ-তে রয়েছে।

তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও বড় এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একদিকে যেমন অনেকেই নারীবাদকে তুলোধোনা করছেনষ। অন্যদিকে নারীবাদের সমর্থকরাও এর অপব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছেন। কারণ, হর্ষ ও মাধবকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়ার পরই ওই তরুণী তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশও প্রাথমিকভাবে তাদেরকেই দোষী ঠাউরেছিল। নেটিজেনদের দাবি এইভাবে মহিলা হওয়ার সুযোগ নিয়েছেন ওই তরুণী। সোশ্যাল মিডিয়ায় 'জাস্টিস ফর মাধব' এবং 'জাস্টিস ফর হর্ষ' বলে দুটি হ্যাশট্যাগও তৈরি হয়েছে।  

 

Share this article
click me!