স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর মূর্তি বসিয়ে মন্দির তৈরি করলেন স্ত্রী। অন্ধ্রপ্রদেশের এই কাহিনী এখন ভাইরাল।
স্বামীই ছিলেন তাঁর ঈশ্বর। তাই স্বামীর মৃত্যুর পর, বাড়ির পাশে তাঁর একটি মন্দির স্তাপন করলেন স্ত্রী। তার ভিতরে স্বামীর মূর্তি স্থাপন করে সকাল বিকাল পূজো করেন।না এটা কোনও ঐতিহাসিক সময়ের গল্পকথা নয়, একেবারে একবিংশ শতাব্দীর এক ভারতীয় মহিলার মবাস্তব জদীবনের কাহিনী।
অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলায় থাকেন পদ্মাবতী দেবী। রক্ষণশীল পরিবারেই বড় হয়েছেন তিনি। বছর চারেক আগে, ২০১৭ সালে এক বড় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয়েছিল তাঁর স্বামী আঙ্কিরেড্ডির। স্বামীর মৃত্যুর পর একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন পদ্মাবতী। কিন্তু, পরিস্তিতি পাল্টে যায় কয়েকদিন পরেই। পদ্মাবতীর দাবি, স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী।
আঙ্কিরেড্ডি স্থানীয় এক মন্দিরেই ১৩ বথছর ধরে কাজ করতেন। পদ্মাবতী দেবী জানিয়েছেন, স্বপ্নে তাঁর স্বামী নিজেই তাঁকে স্বামী উদ্দেশ্যে ওই মন্দির তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই বাড়ির পাশে স্বামী অঙ্কিরেড্ডির জন্য একটি মন্দির নির্মাণ করেন। মন্দিরের ভিতর স্বামীর একটি সাদা মার্বেল পাথরের তৈরি মূর্তিও স্থাপন করেছিলেন। মন্দির নির্মাণে তাঁকে সহায়তা করেছিলেন, তাঁর পুত্র শিবশঙ্কর রেড্ডি এবং আঙ্কিরেড্ডির বন্ধু তিরুপতি রেড্ডি।
সেই থেকে সকাল বিকাল নিয়ম করে স্বামীর পূজা করে আসছেন তিনি। নিয়মিত পুজোর পাশাপাশি, বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান থাকলে, যেমন আঙ্কিরেড্ডির জন্মদিনে, মন্দিরে স্থাপিত মূর্তিটির অভিষেক করা হয়। এছাড়া প্রতি পূর্ণিমায় এলাকার গরীবদের বিনামূল্যে খাদ্য় বিতরণ করেন পদ্মাবতী।
আরও পড়ুন - Vehicle Scrappage Policy - কী এই নীতি, এতে করে কী লাভ হবে আমার-আপনার, জানুন বিস্তারিত
তবে, এই প্রথম কেউ তার পরিবারের কোনও সদস্যের জন্য মন্দির তৈরি করলেন ভারতে এমনটা নয়। এর আগে, ২০১৩ সালে তেলেঙ্গানায় এক ব্যক্তি তাঁর ঠাকুর্দার স্মরণে একটি মন্দির স্থাপন করেছিলেন। ঈশ্বর নামে ওই ব্যক্তির দাদুর নাম ছিল মোগুলাপ্পা। নিঃসন্তান মোগুলাপ্পা তাঁর ছোট ভাইয়ের নাতি ঈশ্বরকে দত্তক নিয়েছিলেন এবং নিজের সন্তানের মতো করে মানুষ করেছিলেন। ২০১৩ সালে মোগুলাপ্পা দেহ রাখার পর ঈশ্বর তাঁর ঠাকুর্দার নামে ২ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি ছোট মন্দির তৈরি করে সেখানে ঠাকুর্দার একটি মূর্তি স্থাপন করেছিলেন।