ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে, আজ বিকেল ৪:১৮ মিনিটে আসামের নাগাঁওতে রিখটার স্কেলে ৪.০ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাটির নিচে ১০ কিলোমিটার।
আজ রবিবার বিকেল ৪টা ১৬ মিনিটে আসামের নগাঁওতে রিখটার স্কেলে ৪.০ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাটির নিচে ১০ কিলোমিটার। এদিকে, মাত্র ৬ দিন আগে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এরপর অসমের ভূমিকম্প স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক তৈরি করেছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে, আজ বিকেল ৪:১৮ মিনিটে আসামের নাগাঁওতে রিখটার স্কেলে ৪.০ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাটির নিচে ১০ কিলোমিটার। সরকারি এক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল গুয়াহাটি থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে মধ্য আসামের হোজাইয়ের কাছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিক ভূমিকম্পে কোনো হতাহত বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ন্যাশনাল ভূমিকম্প কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, কম্পনটি বিকেল ৪.১৮ মিনিটে অনুভূত হয় এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল নগাঁও জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের দক্ষিণ তীরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল গুয়াহাটি থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে মধ্য আসামের হোজাইয়ের কাছে। পশ্চিম কার্বি আংলং, কার্বি আংলং, গোলাঘাট এবং মরি গ্রামের মানুষও কম্পন অনুভব করেন। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তর তীরে অবস্থিত সোনিতপুরের বাসিন্দারাও ধাক্কা অনুভব করেন। উত্তর-পূর্বের সমস্ত রাজ্য উচ্চ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় পড়ে এবং এই এলাকায় নিয়মিত ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
সিসমোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ISR) আধিকারিক জানিয়েছেন একদিন আগে গুজরাটের সুরাট জেলায় ৩.৮ মাত্রার কম্পন রেকর্ড করা হয়েছিল। কম্পনটি ১২.৫২ মিনিটে রেকর্ড করা হয়েছিল যার কেন্দ্রস্থল সুরাটের প্রায় ২৭ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল।
এদিকে, কয়েকদিনের মধ্যেই উত্তর পূর্ব ভারতের তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। জোর কদমে চলছে প্রচার। সোমবারই দ্বিতীয় দফায় ত্রিপুরায় প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার বিজেপি নেতারা এবং শাসক তৃণমূলও প্রচারে রয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিবেশী অসমে ভূকম্পে। উত্তর পূর্বের আরও দুই রাজ্য নাগল্যান্ড, মেঘালয়েও সামনেই নির্বাচন। তারও প্রচার চলছে জোর কদমে। অসমের ভূকম্পের রেশ অন্য রাজ্যে পড়েছে কি না তা অবশ্য জানা যায়নি।