বাঘ হিংস্র পশু হিসেবেই পরিচিত। আর মানুষ নিজেকে বুদ্ধিমান প্রাণী বলে গর্ব করে থাকে। কিন্তু, ইদানিং যেন বাঘের হিংস্রতাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে মানুষ। এতদিন বারেবারে গণপিটুনিতে মানুষ হত্যায় উঠে এসেছে যোদী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ রাজ্য। এবার এক ভিডিওতে দেখা গেল জনা চল্লিশেক গ্রামবাসীর বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে, বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করছেন একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘিনীকে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশ আর উত্তরাখণ্ডের সীমান্তে অবস্থিত পিলভিটের। এই পিলভিটে কিন্তু টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টও রয়েছে। একটি সূত্রের খবর বাঘিনীটি সেখানকার এক মানুষকে আক্রমণ করেছিল। আরেকটি সূত্র অবশ্য মানুষকে আক্রমণ করার কথা উড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টি ঠিক কী তা স্পষ্ট না হলেও যেটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, তা হল বাঘিনীটিকে পিটিয়ে মারায় সময় গ্রামবাসীদের উন্মত্ততা, নৃশংসতা।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মারের চোটে কাহিল বাঘিনীটি মাটিতে নেতিয়ে পরে আছে। আর উন্মত্ত জনতার 'মার, মার' পব তুলে বিরামহীনভাবে প্রহার করে চলেছে। কেউ কেউ আবার বর্শা দিয়ে খোঁচাচ্ছেন। প্রহারের আঘাতেই কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।
(সতর্কতা: নীচের ভিডিওটি মনের উপর চাপ ফেলতে পারে)
পরে গিয়ে পিলভিট টাইগার রিজার্ভের কর্তারা মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। সেখানকার ফিল্ড ডিরেক্টর জানিয়েছেন দেহটি পাঁচ-ছয় বছর বয়সের একটি বাঘিনীর। তাকে এমনভাবে মারা হয়েছে যে তার দেহের সব অংশের হাড় ভেঙে গিয়েছে।
এই বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কেন বন দপ্তরের কর্তাা আরও আগে গিয়ে বাঘটিকে উদ্ধার করলেন না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে বনকর্তাদের কাজে ওই গ্রামবাসীরা বাধা দিয়েছিল কিনা সেই বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি গ্রামবাসীর নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও দেখে ইতিমধ্যেই তার মধ্যে ৩১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।