আস্থাভোটে পরাজিত হয়ে কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের পতন ঘটার তিনদিনের মাথায় শুক্রবার কর্নাটক বিধানসৌধে চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তবে তাঁর মন্ত্রিসভা গঠন এখনও বিশ বাঁও জলে। কাকে কাকে মন্ত্রী করা হবে তাই ঠিক করে উছঠতে পারছে না বিজেপি নেতৃত্ব। শপথ গ্রহণের পর বিধানসৌধে তাঁর সরকারের প্রতি সংখ্যাগুরুর সমর্থন প্রমাণের জন্য ইয়েদুরাপ্পাকে একসপ্তাহ সময় দেওয়া হল।
এই নিয়ে চতুর্থবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন ইয়েদুরাপ্পা। তবে কখনই পুরো সময় সরকার চালাতে পারেননি তিনি। প্রথমবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন ২০০৭ সালে। সেইবার প্রথমে জেডিএস বলেছিল বিজেপি সরকারেকে সমর্থন দেবে। কিন্তু পরে তারা পিছিয়ে যাওয়ায় মাত্র একসপ্তাহ টিকেছিল ইয়েদুরাপ্পার সরকার।
দ্বিতীয়বার সবচেয়ে বেশি সময় মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের মে মাস থেকে ২০১১ সালের জুলাই - এই তিন বছর দুইমাস টিকেছিল ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। তারপর দুর্নীতিরমামলায় ফেসে কর্নাটকের লোকায়ুক্ত অনুযায়ী পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। জেলও হয় তাঁর।
ইয়েদুরাপ্পা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন চলতি বিধানসভাতেই। ২০১৮ সালের মে মাসে ভোচের ফল বের হওয়ার পর একক সংখ্যাগরীষ্ঠতা না পেলেও সবচেয়ে বড় পার্টি হিসেবে সরকার গড়েছিল বিজেপি। কিন্তু অন্য দলগুলির সমর্থন আদায় করতে না পেরে মাত্র তিনদিনের মাথাতেই আস্থাভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই তিনি পদত্যাগ করেন।
চতুর্থবার তিনি ক্ষমতা পেলেন এক নাটকীয় পরিস্থিতিতে। কংগ্রেস-জেডিএস তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ ও মন্ত্রীত্বের টোপ ফেলে বিধায়ক ভাঙানোর অভিযোগ করেছে। দুই নির্দল বিধায়ক সহ শাসক জোটের পক্ষে থাকা ১৮ জন বিধায়ক কুমারস্বামী সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেয়। এইবার সাতদিনের মধ্য়ে সংখ্যাগরীষ্ঠতা প্রমাণ না করতে পারলে আরও একবার অল্পদিনের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই তাঁকে সরে যেতে হতে পারে।