প্লে-স্টোরে ভারত-বিরোধী অ্যাপ, অভিযোগ পেতেই সরিয়ে দিল গুগল, পিছনে কি আইএসআই

  • গুগল প্লে-স্টোরে ছিল একটি ভারত-বিরোধী অ্যাপ
  • সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী
  • বুধবার প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে দিল গুগল
  • একটি খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী অ্যাপটি চালায়

 

amartya lahiri | Published : Nov 21, 2019 12:56 PM IST

গুগল প্লে-স্টোরে গত কয়েক মাস ধরে একটি ভারত-বিরোধী অ্যাপ চালাচ্ছিল একটি খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। অ্যাপটি সরিয়ে দেওয়ার জন্য গুগল-এর কাছে দাবি করেছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। বুধবার প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে দিয়েছে গুগল, বলে জানিয়েছে পঞ্জাব সরকার।

২০২০ শিখ রেফারেন্ডাম

ওই অ্যাপটির নাম ছিল ২০২০ শিখ রেফারেন্ডাম। পঞ্জাব সরকার জানিয়েছে অ্য়াপটিতে 'পঞ্জাব রেফারেন্ডাম ২০২০ খালিস্তান' আন্দোলনে নাম নথিবূক্ত করার আহ্বান জানানো হত। এটি একটি বেসরকারি অনলাইন গণভোট। উদ্দেশ্য পঞ্জাবকে  'ভারতের দখলদারি' থেকে 'স্বাধীন' করা। এই প্রচার চালাচ্ছে শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে) নামে একটি সংগঠন।

২০২০ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী গণভোট

২০০৭ সালে তৈরি হওয়া এই সংগঠনটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শিখদের পৃথক দেশ গঠন করতে চায়। তাদের সদস্যরা মূলতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও অন্য়ান্য দেশ ও ভারতেও তাদের কিছু সমর্থক রয়েছে। ২০২০ সালে পৃথক শিখভূমির জন্য তারা পাঞ্জাব-সহ উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন্স, সিঙ্গাপুর, কেনিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির প্রধান প্রধান শহরগুলি থেকে অনলাইনে গণভোট আয়োজন করতে চলেছে। চলতি বছরের জুলাইতেই ভারত সরকার সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

কেন সরিয়ে দিল গুগল?

এদিন পঞ্জাব সরকার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, '২০২০ শিখ রেফারেন্ডাম' অ্যাপটি যে ভারত-বিরোধী তা মেনে নিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ। অন্তত ভারতীয় ব্যবহারকারীদের কাছে আর ওই অ্যাপটি মিলবে না। জানা গিয়েছে, গুগল তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে, ওই অ্যাপে ব্যবহারকারী যেসব তথ্য দিচ্ছেন, তা 'ইয়েসটুখালিস্তান ডট কম' নামে একটি ওয়েবসাইটে গিয়ে জমা হচ্ছে। সাইটটি চালায় এসএফজে। এরপরই অ্যাপটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পিছনে কি আইএসআই?

পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং গুগলের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ এসএফজে ভারতের অখণ্ডতাকে নষ্ট করতে চাইছে। তাদের মদত দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।

 

Share this article
click me!