'নির্ভয়ার মতো হলে মেয়েকে জ্বালিয়ে দিতাম', আসামিদের আইনজীবীও কম ভয়ানক নন

শেষ পর্যন্ত লড়ে গেলেন এপি সিং। তবে ফাঁসি আটকাতে পারলেন না। তিনি নিজেও কম বিতর্কিত নন। বলেছিলেন নির্ভয়ার মতো হলে নিজের মেয়েকে পুড়িয়ে দিতেন।

 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একবার সুপ্রিম কোর্ট, একবার নিম্ন আদালত-এ চক্কর কেটেছেন আইনজীবী এপি সিং। তারপর আবার রাতে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট, তারপর ফের সুপ্রিমকোর্ট। এদিন ভোর পৌনে চারটে অবধি তিনি নির্ভয়া মামলার আসামিদের সাজা রদ করার জন্য লড়ে গিয়েছেন। যেখানে গোটা ভারত ওই চার নরপিশাচের ফাঁসি কামনা করছে, সেখানে তিনি যেন অপরাধীদের হয়ে ধর্মযুদ্ধে নেমেছিলেন। আসলে তিনিও মানুষটা খুব একটা কম ভয়ঙ্কর নন।

কেন? ২০১৩ সালে সাকেত কোর্টে প্রথমবার এই মামলায় পরাজিত হয়ে, তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন, তাঁর মেয়ে বা বোন যদি বিবাহ-পূর্ব যৌন সম্পর্কে জড়াত, নিজেকে অসম্মানিত করত, নিজের মুখ পোড়াত, চরিত্র নষ্ট করত, তাহলে সেই বোন বা মেয়েকে তিনি ফার্মহাউসে নিয়ে গিয়ে পুরো পরিবারের সামনে পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দিতেন। বস্তুত, তিনি ধর্ষকদের সমর্থনে নির্যাতিতাকেই কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছিলেন। অতরাতে মেয়ে হয়ে পুরুষ-এর সঙ্গে নির্ভয়া কী করছিল সেই প্রশ্ন তুলে আদালতে কুইঙ্গিত করেন।

Latest Videos

এই নিয়ে তাঁর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এমনকী তাঁকে দেখে আদালত কক্ষেই বসে থাকা জনতা বলে উঠেছে, একেও ফাঁসি দেওয়া হোক। তাতে কিন্তু তাঁর মত পাল্টায়নি। নিজের পদক্ষেপকে সমর্থন করে তিনি বলেছিলেন, 'রাত্রিবেলা মেয়েটি ছেলেটির সঙ্গে কী করছিল তা জিজ্ঞাসা করব না? এটা তো প্রমাণের অংশ। এমন তো নয় যে তারা ভাই-বোন বা তারা রাখি উদযাপন করতে বেরিয়েছিল। বলা হচ্ছে তারা বন্ধু। তাদের সমাজে প্রেমিক-প্রেমিকা একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতে পারে, তবে আমি যে সংস্কৃতি থেকে এসেছি সেখানে এসব চলে না'।

১৯৯৯ সাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তিনি। তবে ২০১২ সালে এই মামলা হাতে নেওয়াতেই প্রথমবার সসংবাদের শীর্ষে উঠে আসেন তিনি। কিন্তু, নির্ভয়া মামলা লড়ার সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন কী করে? এর পিছনে রয়েছে তাঁর মা-এর ভূমিকা। জানা গিয়েছে, অক্ষয়ের স্ত্রী বিহারের এক গ্রাম থেকে তিহার জেলখানায় গ্রেপ্তার হওয়া স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সেখান থেকেই এপি সিং-এর নম্বর পান। সরাসরি তাঁর বাড়িতে এসে তঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করে অক্ষয়ের স্ত্রী। এপি সিং বাডড়ি ফিরলে মা তাঁকে অক্ষয়ের স্ত্রী-কে ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য লড়ার আদেশ দেন, যা তিনি ফেলতে পারেননি।

আইনজীবী এপি সিং আরও জানিয়েছেন, এই বিতর্কিত মামলা নিতে তিনি প্রথমে রাজি ছিলেন না। কী কী সমস্যা হতে পারে, মা কে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবা-মা নির্ভয়া আন্দোলন নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তাই ছেলের যুক্তি তাঁরা মানেননি। সাকেত আদালতে নির্ভয়া মামলায় তিনি অক্ষয় এবং বিনয়-এর হয়ে মামলা লড়েছিলেন। সেখানে ব্যর্থ হয়ে তারা উচ্চ আদালতে যান। সেখানে আবার এই মামলায় তাঁর মক্কেল তালিকায় জুড়েছিল পবন গুপ্তার নাম-ও।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Hooghly-তে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ED-র বড়সড় অভিযান! এলাকায় উত্তেজনা তুঙ্গে | Hooghly News Today
এটিএম লুঠের ছক ভেস্তে দিলো পুলিশ! ভীন রাজ্যের যোগ, চাঞ্চল্য New Barrackpore-এ | North 24 Parganas
Chinmay প্রভুর মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ হাই কমিশন অভিযান Suvendu-দের, দেখুন ভিডিও
'পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদেরও Bangladesh-র মত অবস্থা হবে' Mamata-র দিকে আঙ্গুল তুলে আশঙ্কা Agnimitra-র
৮৪ বছরের বৃদ্ধ তিনি কার উপদেষ্টা? নাম না করে MD Yunus-কে বেলাগাম আক্রমণ Dilip Ghosh-এর