Army Chopper Crash: কপ্টার দুর্ঘটনার শোকস্তব্ধ ভারত, শহিদ ব্রিগেডিয়ারের কন্যার কবিতাতেই কাঁদছে দেশ

কাকতালীয় ভাবে তামিলনাড়ুর কুন্নুরে ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনার মাত্র দিন চারেক আগে ব্রিগেডিয়ার এলএস লিডারের মেয়ে আশনা দেশের সেনাদের উদ্দেশ্যে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। যা নিয়েই নতুন করে সাড়া পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Jaydeep Das | Published : Dec 12, 2021 8:54 AM IST

গত বুধবার তামিলনাড়ুতে সেনা কপ্টার দুর্ঘটনায়(Army helicopter crash in Tamil Nadu) মৃত্যু হয় ভারতের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়ত(Army Commander Bipin Rawat) এবং তাঁর স্ত্রী-সহ ১৩ জনের। তাদের মধ্যেই ছিলেন ব্রিগেডিয়ার এলএস লিডার(Brigadier LS Lidder)। তাঁকে শেষ বিদায় জানানো হয় শুক্রবার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, এনএসএ অজিত ডোভাল এবং ঊর্ধ্বতন সেনা আধিকারিকরা ব্রিগেডিয়ার লিডারের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তার স্ত্রী ও কন্যাও অশ্রুসিক্ত চোখে ব্রিগেডিয়ার লিডারকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে(Army Chief General MM Naravane), নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এবং বায়ুসেনা প্রধান(Chief of Air Staff) এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীও তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেই সময় তাঁর স্ত্রীর বাঁধ ভাঙা কান্না ও মৃত স্বামীর কফিনে শেষ চুম্বন আরও ভারাক্রান্ত করে তোলে প্রতিটা ভারতীয়ের মন। কিন্তু কাকতালীয় ভাবে তামিলনাড়ুর কুন্নুরে ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনার মাত্র দিন চারেক আগে ব্রিগেডিয়ার এলএস লিডারের মেয়ে আশনা দেশের সেনাদের উদ্দেশ্যে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। যা নিয়েই নতুন করে সাড়া পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এদিকে যে কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে আশনা অংশ নিয়েছিলেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুদুচেরির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং ভারতের প্রথম মহিলা আইপিএস অফিসার কিরণ বেদি। তাঁর সকলেই আশনার আবৃত্তির অংশটুকু টুইটারে শেয়ারও করেছেন। ভিডিওতে ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে ৩ ডিসেম্বর বই পড়ার সেশনে তার ‘Selfless Independence’ কবিতার লাইন আবৃত্তি করতে দেখা যায়। এই কবিতাটি আশনা লেখেন স্বাধীনতা দিবসের সময়। পাঠ শুরুর আগে সকলকেই একথা জানান তিনি। পাশাপাশি যা নিঃস্বার্থ ভাবে দেশের জন্য প্রাণ দিতে সদ প্রস্তুত তাঁর এই কবিতা তাদের উদ্দেশ্যে লেখা বলেও জানান তিনি। যা পরতে পরতে রয়েছে দেশাত্মবোধের ছোঁয়া, রয়েছে সেনার প্রতি আকুম্ঠ কুর্নিশ। যা বর্তমানে তার বাবা মৃত্যুর ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।

আরও পড়ুন-  প্রশাসনিক সভায় কেন ডাক পাচ্ছেন না বিজেপি বিধায়কেরা, সাংসদের প্রশ্নে দানা বাঁধছে বিতর্ক

এদিকে বাবার শেষকৃত্যে এসে আশনাকে বলতে শোনা যায়,আমার বয়স ১৬। এই ১৬ বছর ধরে বাবা আমার পাশে ছিলেন। আমরা এখন থেকে ভালো স্মৃতি নিয়ে এগিয়ে যাবো। এটি একটি জাতীয় ক্ষতি। আমার বাবা ছিলেন একজন হিরো, আমার সেরা বন্ধু। হয়তো এটা ভাগ্যে ছিল এবং ভবিষ্যতে আমাদের পথে ভালো কিছু এগিয়ে আসতে পারে। তিনি সবাইকে উৎসাহিত করতেন। তিনি আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।এবার সেই আশনার হাতে লেখা কবিতাই নতুন করে আবেগতাড়িত করে তুলছে দেশবাসীকে।

Share this article
click me!