চিনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে তৈরি হওয়া উত্তেজনা এখন অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে। সামিরক পর্যায়ে বৈঠকের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সেনা সরিয়েছে লালফৌজ। তবে সাম্রাজ্য লোলুপ বেজিংকে আর বিশ্বস করতে রাজি নয় ভারত। তাই চিন সীমান্ত লাগোয়া বিস্তির্ণ অঞ্চলে নজরদারিতে কোনওভাবেই ঢিলে দিতে চাইছে না দেশের সরকার। আর সেই কারণেই দেশ মৃত্তিকাকে রক্ষা করতে এবার আসরে নামান হচ্ছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক এক ড্রোনকে। যার নাম রাখা হয়েছে 'ভারত'।
ভারতীয় সেনার হাতে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন তুলে দিল বিশেষ এই ড্রোনকে। সম্পূর্ণ ভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ড্রোন উঁচু পাহাড়ে ঘেরা এলাকায় নজরদারি চালাতে বিশেষ ভাবে তৈরি। সেই কারণেই লাদাখ সীমান্তে উঁচু পাহাড়ি এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চালাতে সেনার হাতে তুলে দেওয়া হল ভারতকে। এই 'ভারত' ড্রোন বিশ্বের সবচেয়ে হালকা ও সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে যে ড্রোনগুলি তার মধ্যে অন্যতম। উঁচু পাহাড়ি এলাকায় অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে নজরদারি চালাতে সক্ষম এই ড্রোন।
রেডারের আওতার বাইরে শূন্য থেকে নজর রাখতে পারবে ভারত। প্রয়োজনে দল বেঁধে পাইলট ছাড়াই করতে পারবে বালাকোটের মতো এয়ারস্ট্রাইক। ভারত এমনই অত্যাধুনিক ড্রোন দাবি করছে ডিআরডিও। এই ড্রোনে আছে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স। বিশ্বের সবচেয়ে হালকা এই ড্রোন ওড়ে দ্রুতবেগে। পাশাপাশি এতে আছে অত্যাধুনিক নাইটভিশন ক্যামেরা। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা শত্রুর প্রতিটা পদক্ষেপ মাপতে পারে ভারত ড্রোন। তাই লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তের ১৫৯৭ কিলোমিটার এলাকা এবার থাকবে ভারত ড্রোনের নজরে।
ভারত সিরিজের ড্রোনগুলি চণ্ডীগড়ের একটি পরীক্ষাগারে তৈরি করেছে ডিআরডিও। 'ভারত' ড্রোনের আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বন্ধু এবং শত্রুর মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম। শত্রুকে চিনে নিয়ে সেই হিসেবে পরবর্তী পদক্ষেপও ঠিক করে পারে এই ড্রোন। যে কোনও রকম চূড়ান্ত শীতল আবহাওয়াতেও কাজ করতে সক্ষম ভারত। নজরদারি চালানোর সময় রিয়েল টাইম ভিডিয়ো পাঠাবে 'ভারত' ড্রোন।
লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারি আরও কড়া করতে এমনই একটি ড্রোন প্রয়োজন ছিল সেনার। তাই স্বভাবতই নতুন শাগরেদকে পেয়ে উতফুল্ল ভারতীয় বাহিনী। সেনার একাধিক মিশনে এবার থেকে 'ভারত' উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলেই আশা করা হচ্ছে।