- Home
- India News
- দেশের করোনা পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত সরকারের, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ঘোষণা
দেশের করোনা পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত সরকারের, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ঘোষণা
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউন শুরু হয়েছিল। সেই সময় তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়ক শিল্পের কর্মীরা অধিকাংশই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার অনুমতি পেয়েছিলেন। এরপর করোনা সংক্রমণের জেরে সরকার আইটি সংস্থাগুলিকে জুলাই মাস পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছিল । কিন্তু দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে টেলিকম দফতর থেকে জানানো হল, আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ওই ছাড় দেওয়া হবে। অর্থাৎ এবছর পুরোটাই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন।
- FB
- TW
- Linkdin
আইটি সংস্থায় কর্মরতদের জন্য বড় খবর ৷ টেলিকম ডিপার্টমেন্ট আইটি ও আইটিইএস ইন্ডাস্ট্রিগুলিকে চলতি বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করার ছাড় দিচ্ছে।
টেলিকম দফতর থেকে বলা হয়েছে, “দেশে করোনা পরিস্থিত উদ্বেগজনক। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আইটি কর্মীদের ছাড়ের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হবে।”
টেলিকম সংস্থা ট্যুইট করে এই বিষয়ে জানিয়েছে ৷ ডট-এর তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে প্রায় ৮৫ শতাংশ আইটি কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন ৷ কেবল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে কাজগুলির জন্য অফিসে কিছু সংখ্যক কর্মীরা যাচ্ছেন ৷
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে করোনা সংক্রান্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সরকারের এই সিদ্ধান্ত খুশি আইটি সেক্টরের কর্মীরা ৷
এই সিদ্ধান্তে খুশি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। উইপ্রোর চেয়ারম্যান রিশাদ প্রেমজি ট্যুইট করে বলেছেন, “এখন কাজের পদ্ধতি বদলে ফেলতে হচ্ছে। প্রথম থেকেই আমাদের সাহায্য করছে সরকার। আমরা সরকারকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।”
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বহুদিন ধরেই সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছিল, স্থায়ীভাবে বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হোক। তারা চায়, কয়েকজন কর্মী অফিসে এসে কাজ করুন, বাকিরা ডিউটি করুন বাড়ি থেকে। এইভাবে অফিসের পিছনে খরচ অনেকাংশে কমানো যাবে। সরকার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এ ছাড় দেওয়ার পরে ন্যাসকম-এর প্রেসিডেন্ট দেবযানী ঘোষও ট্যুইট করে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ন্যাসকমের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে দেশের আইটি সংস্থার প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করেছেন ৷ কর্মীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
করোনা অতিমহামারীর ফলে অন্যান্য শিল্পের মতো তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এখনই বলা যাচ্ছে না।
আইএমএফ বলেছিল, ২০২০ সালে ভারতের মোট জাতীয় উৎপাদন কমবে ৪.৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকও সেই সম্ভাবনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সরকারের বক্তব্য, কোভিড ১৯ অতিমহামারীর ফলে বাজারে চাহিদা ও যোগানের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে অনেকে মনে করছেন মহামারী শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বেশ কিছু সংস্থা ওয়ার্ক ফ্রম হোম মডেলই ফলো করতে পারে ৷ কারণ এই মডেলে অফিসের জন্য আলাদা করে জায়গা লাগবে না ৷