নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে সমর্থক ও বিরোধীদের সংঘর্ষ অব্যাহত দিল্লিতে। সোমবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায় এই সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর আকার নেয়। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত আহত হয়েছে শতাধিক সাধারণ মানুষ। আহতদের মধ্যে ৩৫ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে। মঙ্গলবার আহতদের সঙ্গে দেখা করতে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সঙ্গে ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
আরও পড়ুনঃ সিএএ নিয়ে অশান্ত দিল্লি, নিজের দলের বিধায়কের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরালেন গম্ভীর
হাসপাতালে ঘুরে অসুস্থদের সঙ্গে কথা বলেন আহতদের সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। খোঁজখবর নেন তাঁদের চিকিৎসার বিষয়। প্রথম থেকেই দিল্লিতে চলা সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শান্তি স্থাপনের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। সকালে বৈঠকও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। কারণ দিল্লির পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করেন অমিত শাহ। হিংসা রুখতে দিল্লির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সীমানা বন্ধ করে দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে এখনই সেনা নামানোর বিরোধী তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই মোয়াতেন করা হয়েছে ব়্যাফ। বেশ কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
আরও পড়ুনঃ দিল্লির হিংসার বলি হেড কনস্টেবলেক শেষ শ্রদ্ধা, শোকে পাথর রতন লালের ৩ সন্তান
মঙ্গলবার সকালেই মহাত্মা গান্ধির স্মৃতিসৌধ রাজঘাটে যান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখান থেকেই দেশের রাজধানীতে শান্তি বজার রাখার বার্তা দেন। তিনি বলেন সংঘর্ষ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। রাজঘাটে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে ছিলেন আম আদমি পার্টির বিধায়করা। সূত্রের খবর অরবিন্দ কেরজরিওয়াল দেখা করতে পারেন সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল রতন লালের পরিবারের সঙ্গে।