দিল্লির বাওয়ানা বিধানসভা কেন্দ্রের দরিয়াপুর কালানে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে তিনি একটি নতুন স্কুল অফ স্পেশালাইজড এক্সিলেন্সের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। তিনি মনীশ সিসোদিয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন এবং নিজেকে কান্না থামাতে পারেননি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের চোখে জল। কিন্তু কেন। কী এমন হল, যে আচমকা একটি স্কুলে উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে গিয়ে কেঁদে ফেললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আসলে প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে স্মরণ করে কেঁদে ফেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মণীশ সিসোদিয়া গত ৫ মাস ধরে তিহার জেলে বন্দী। তার বিরুদ্ধে মদ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সোমবার তার জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
দিল্লির বাওয়ানা বিধানসভা কেন্দ্রের দরিয়াপুর কালানে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে তিনি একটি নতুন স্কুল অফ স্পেশালাইজড এক্সিলেন্সের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। তিনি মনীশ সিসোদিয়ার কথা উল্লেখ করে নিজের বক্তব্য রাখছিলেন, এবং তারপরেই নিজের কান্না থামাতে পারেননি।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, 'আজ আমি মনীশ জিকে খুব মিস করছি। এই ছিল তার স্বপ্ন। এরা চায় দিল্লির শিক্ষা বিপ্লবের অবসান হোক। শেষ হতে দেবে না। অরবিন্দ কেজরিওয়াল একথা বলতেই কান্না শুরু করেন। কোনোরকমে জল খেয়ে নিজেকে সামলে নেন তিনি। তারপর ফের কথা বলতে শুরু করেন।
'প্রত্যেক শিশুর সুশিক্ষা, মনীশের স্বপ্ন'
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, 'মণীশ সিসোদিয়া এটা শুরু করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল প্রতিটি শিশু যেন সুশিক্ষা পায়। মিথ্যা অভিযোগ করে, ভুয়ো মামলা নথিভুক্ত করে এমন একজন ভালো শিক্ষামন্ত্রীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।'
'স্কুল তৈরি করায় জেলে গিয়েছে মনীশ'
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, 'ওরা মনীশকে জেলে রেখেছে কারণ সে ভালো স্কুল তৈরি করেছে। এত ভালো স্কুল তৈরি না করলে তাকে জেলে পাঠানো হতো না। তারা উদ্বিগ্ন যে এই স্কুলগুলি থেকে আম আদমি পার্টির প্রচার করা হচ্ছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, 'সিসোদিয়া যদি শিক্ষা নিয়ে কাজ না করতেন, তাহলে তাকে জেলে যেতে হতো না। খুব শিগগিরই তারা বেরিয়ে আসবে, আমার পূর্ণ আশা আছে। যারা সত্য অনুসরণ করে ঈশ্বর তাদের সমর্থন করেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি সব শিশু যেন এগিয়ে যায় এবং উন্নতি করে।
মণীশ সিসোদিয়া কবে থেকে জেলে?
মণীশ সিসোদিয়া ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলে রয়েছেন। দিল্লির মদ নীতি কেলেঙ্কারিতে তার নাম উঠে আসে, তার পরেই ইডি-র নিশানায় তিনি। এখন তিনি তিহার জেলে বন্দী। তাকে জেরা করছে ইডি। তিনি দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলেও আদালত এই দাবি নাকচ করে দেন।