তাজমহলের রহস্যময় ২২টি বন্ধ ঘরের ছবি প্রকাশ, তাহলে কি এবার বিতর্ক শেষ হবে

তাজমহলের বিতর্কিত ২২টি তালাবদ্ধ ঘরের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করল আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আগ্রা শাখা। এই ঘরগুলি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।

Saborni Mitra | Published : May 16, 2022 1:21 PM IST

তাজমহলের বিতর্কিত ২২টি তালাবদ্ধ ঘরের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করল আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আগ্রা শাখা। এই ঘরগুলি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। একই সঙ্গে ওই ২২ঘর সম্পর্কে জানতে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি নেতা। গত ১২ মে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্নৌ বেঞ্চ তাজ মহলের ইতিহাস সম্পর্কে  সত্য- সন্ধানী তদন্ত ও ২২টি ঘরের তালা খোলার দাবি জানিয়ে মামলা হয়েছিল। যদিও সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তবে সোমবার আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে সেই ঘরগুলি। যা নিয়ে অনেকেই মনে করছেন তাজমহল নিয়ে বিতর্কের অবসান হবে। 

বিজেপির অযোধ্যা ইউনিটের নেতা রজনীশ সিং লক্ষ্নৌ বেঞ্চে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল তাজমহলের আগে সেখানে ছিল শিব মন্দির। তাই তাজমহলের নাম তেজো মহল করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাজমহলের বাস্তব ইতিহাস কী তা সকলের জানা দরকার। আর সেই জন্যই বন্ধ ২২টি ঘরের তালা খোলা জরুরি।

শুনানির সময় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল  এই ঘরগুলি নিয়ে কোনও গোপনীয়তা নেই। এগুলি তাজমহলের সঙ্গেই তৈরি হয়েছিল। মুঘল যুগের বেশ কিছু সমাধি রয়েছে। 

নদীর তীরে ভূগর্ভস্ত সেল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়েছিল। সেই সময়ই ঘরগুলি মেরামতি করা হয়েছিল। আগের চুনের প্ল্যাস্টর সরিয়ে নতুন করে চুনের প্ল্যাস্টার দেওয়া হয়েছে। তবে আগে চুন প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল এখন সেই সেই নিয়ম মানা হয়নি। আগে আর পরে দুটো ছবিও প্রকাশ করেছে সংস্থার নিউজলেটারে। সংস্থার আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন জানুয়ারি থেকেই এই ছবিগুলি তাদের পাবলিক ডোমেনে রয়েছে। তবে ওয়েবসাইটে তোলা হয়েছিল ৫ মে আর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করা হয়েছে ৯ মে। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে, প্রতিটি ছবিই দিল্লিতে সদর দফতরে পাঠান হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণও পাঠান হয়। এই ছবিগুলি তারই অংশ।

যদিও তাজমহল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পরই বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারী দাবি করেছিলেন তাজমহল যে জমিতে তৈরি হয়েছে সেটি জয়পুর রাজপরিবারের সম্পত্তি। সম্রাট শাহজাহান তাদের পরিবারের কাছ থেকে জোর করে এই জমিটি কেড়ে নিয়েছিলেন। সেইসংক্রান্ত যাবতীয় প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন প্রয়োজনে তিনি আদালতেও আসতে পারেন। 
 

Share this article
click me!