জমি দখলের অভিযোগ, ৫০ বছরের পুরনো বিবাদ ঘিরে অগ্নিগর্ভ অসম-মিজোরাম সীমানা

 

  • অসম ও মিজোরাম সীমানায় উত্তেজনা
  • দুই রাজ্যের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ 
  • পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নামাতে পারে 

৫০ বছরের পুরনো উত্তেজনা আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছা অসম ও অরুণাচল সীমানা এলাকায়। উত্তর পূর্ব ভারতের দুটি রাজ্য ১৬৪ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ  ভাগ করে নেয়। গত মাস থেকেই সীমান্ত বরাবর এলাকা জুড়ে দুই রাজ্যের মধ্যে হিংসার ঘটনা বাড়ছিল। দুটি রাজ্যের নিরাপত্তা কর্মীরা একে অপরের  জমি দখল করছিল। অসমের অভিযোগ মিজো নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের রাজ্যের জমি দখল করে রেখেছে। পরবর্তীকালে সেই এলাকাটি তাদের মালিকানাধীনেই রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার দুই রাজ্যের সীমানা এলাকায় সেনা মোতায়েন করতে পারে। 

 
দীর্ঘ দিন ধরেই সীমান্ত নিয়ে বিবাদ রয়েছে অসম আর মিজোরামের। নতুন করে অশান্তি দেখা দেওয়ার কারণ হিসেবে অসমকেই দায়ি করছে মিজো সরকার।  অভিযোগ অসম পুলিশ সীমানা এলাকায় বসবাসকারী কৃষকদের ফসল জ্বালিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের বাড়িতে। মিজো কৃষি মন্ত্রী জানিয়েছেন কৃষকদের ক্ষতিপুরণ হিসেবে ৪২৫ কুইন্টাল আলুর দানা সরবরাহ করা হয়েছে নাবার্ড প্রকল্পের আওয়াত। তাতে খরচ হয়েছে ৭ কোটি টাকা। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য অসমের শিলচরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন দুই রাজ্যের প্রতিনিধিরা।

Latest Videos


 বৈঠকের পর অসমের মুখ্য সচিব বলেন তাঁরা কোনও প্রতিবেশি রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে পারেন না। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ পরিবেশই তাঁরা চান। পাশাপাশি অসমের মুখ্যসচিব জিষ্ণু বড়ুয়া জানিয়েছেন তাঁরা কোনও মূল্যেই তাঁদের জমি ছাড়তে রাজি নন। সংবিধান অনুযায়ী তাঁদের  সীমানা কতটা তাঁরা জানেন। তাঁদের জমি তাঁরা ফেরত চান।



৫০ বছর আগে মিজোরাম রাজ্যের পত্তন করা হয়েছিল। প্রথমে এটি ছিল কেন্দ্র শাসিত এলাকা। পরবর্তীকালে ১৯৮৭ সালে রাজ্যের মর্যাদা প্রদান করা হয়। ১৯৭৫ সালে মিজোরাম দাবি করে আসছিল ৫০৯ বর্গ মাইল জুড়ে আন্তরাজ্য রিজার্ভ ফরেস্ট জুড়়ে তাদের সীমানা। যা মেনেনিতে রাজি নয় অসম। আর দুই রাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমস্যা সামাধানে ব্যার্থ হয়েছে দুই রাজ্য। 


 
১৭ অক্টোবর সীমানা সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২০টি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ৫০ জন মানুষ আহত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর মিজোরামের জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকগুলি আটকে দেয় অসম সরকার। প্রায় ১০০ টি ট্রাকে যাত্রাপথ স্তবদ্ধ করে দেওয়া হয়। অসমের লায়লাপুরের বাসিন্দা ৪৮ বছরের ইন্তাজুল লস্করের মৃত্যু হয় মিজোরামের একটি হাসপাতাল। তারপরই অসম সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অপরহণ করে হত্যার অভিযোগ তোলে। পাল্টা মিজো সরকার দাবি করে লস্কর একটি ড্রাগপাচারকী। 


 

Share this article
click me!

Latest Videos

২০১৭ থেকে এদেশে...নথি জাল করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার TMC কর্মী | Bangladeshi Arrest | Nadia News
বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে Mamata-কে প্রশ্ন Suvendu-র, পাল্টা ক্ষোভ উগরালেন Kunal Ghosh
'বহুরূপীর জন্যই খাদান এত সাফল্য পেয়েছে' কেন এমন বললেন দেব? দেখুন পুরো ভিডিও
'Bangladesh-এ Israel-এর মতো অ্যাকশন করতে হবে!' বিস্ফোরক Suvendu Adhikari #shorts #shortsvideo
Konnagar-এ অবৈধ জলের কারবার ফাঁস! হাতেনাতে পাকড়াও অবৈধ ব্যবসায়ীদের, দেখুন | Hooghly News Today